বুধবার গ্রিস থেকে অলিম্পিক মশাল এল বেইজিংয়ে। ২০২২-এর শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসবে বেইজিংয়ে। সেই উপলক্ষ্যে গত সোমবার গ্রিসের অলিম্পিয়া স্টেডিয়ামে অলিম্পিক মশাল নিয়েছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক কাই কি।
তবে গ্রিসে মশাল-গ্রহণ অনুষ্ঠানে রীতিমতো বিক্ষোভ হয়েছে। চীন মানবাধিকার ভঙ্গ করছে, এই অভিযোগ করে বেশ কয়েকটি সংগঠন অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছিল। কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)-র প্রেসিডেন্ট এই মশাল-অনুষ্ঠানে বারবার তার বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি মনে করেন, চীনে রাজনীতি নিরপেক্ষ মাঠে অলিম্পিকের আসর বসবে। ২০২২ সালের ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি এই গেমস হওয়ার কথা।
এই শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের পর বেইজিং হবে একমাত্র শহর যেখানে সামার ও উইন্টার অলিম্পিক হয়েছে। অধিকাররক্ষা কর্মীরা অবশ্য বেইজিংকে বেছে নেয়া নিয়ে রীতিমতো সোরগোল তুলেছেন। তাদের দাবি, এই বাছাই নিয়েও বেনিয়ম হয়েছে। কিন্তু উত্তর অ্যামেরিকা ও ইউরোপের শহরগুলো এই দায়িত্ব নিতে চায়নি। তাই আইওসি-র সামনেও খুব বেশি বিকল্প ছিল না। নরওয়েও জানিয়ে দেয়, তারা গেমসের আয়োজন করতে পারবে না। তখন বেইজিং এবং কাজাখস্তানের নুর-সুলতানের মধ্যে একটা শহরকে বেছে নেয়ার প্রশ্ন ছিল। তারা বেইজিংকে বেছে নেয়।
কিন্তু কিছু মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনের দাবি, আইওসি-র এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো, চীন যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা মেনে নেয়া। ২০০৮ সালে চীনে সামার অলিম্পিক হয়েছে। বিশেষ করে উইগুর মুসলিম ও তিব্বতীদের সঙ্গে চীন যে ব্যবহার করছে, তা নিয়ে সোচ্চার এই সংগঠনগুলো। তারা হংকংয়ে যেভাবে গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভ জোর করে থামাচ্ছে, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তারা বিভিন্ন দেশ ও অ্যাথলিটদের অলিম্পিক বয়কট করার আবেদন জানিয়েছে। চীন সরকার জানিয়ে দিয়েছে, করোনার জন্য বিদেশ থেকে কোনো দর্শককে এই গেমস দেখার অনুমতি দেয়া হবে না। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন