বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে পূজাম-প, মন্দির, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে বদলী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী পুলিশ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়। এর আগে কামরুজ্জামান সিকাদারকে বদলীর অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে বেগমগঞ্জ থানা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলী করা হয়েছে। তার স্থলে মীর জাহেদুলহক রনিকে অফিসার ইনচার্জ বেগমগঞ্জ হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় পূজাম-পে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা চৌমুহনী ডিবি রোডে (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক) গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দোকানপাট, মন্দির ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এ ঘটনায় নিহত হন যতন সাহা (৪২) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬)। এরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর, বেগমগঞ্জ থানার ওসি ও ইউএনওর প্রত্যাহার দাবি করে আসছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন