পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে সম্প্রতি মোহাম্মদপুর লালামাটিয়াস্থ রাহমানিয়া জৈনপুরী খানকা (দরবার) কমপ্লেক্সের উদ্যোগে ওয়াজ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও আখেরী মুনাজাত করেন ওলিয়ে কামিল আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীরসাহেব। ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি শেখ জহির আহমেদ ও রুহুল আমীন মেহেদীর ব্যাবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র কমপ্লেক্সের আজীবন সদস্য, তেপান্তর গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এইচ এম এরশাদ উল্লাহ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামি চিন্তাবিদ হজরত মাওলানা আবেদ আলী। আরো ওয়াজ করেন আদর্শ ইসলামি মিশন মহিলা কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা মঈন উদ্দীন, মাওলানা তোজাম্মেল হক এবং মাওলানা ইমদাদুল হক ও প্রফেসর সোহরাব হোসেন প্রমুখ। মিলাদ পাঠ করেন পিরজাদা সৈয়দ মিশকাতুর রহমান এবং সৈয়দ হুমাইয়াদ মাবরুক জৈনপুরী।
বয়ানে জৈনপুরী পীরসাহেব বলেন, আল্লাহ তা’আলা এরশাদ ফরমান হে প্রিয় রাসূল! আমি স্বয়ং আপনাকে পৃথিবীর বুকে শাহেদ অর্থাৎ স্বাক্ষী স্বরূপ পাঠিয়েছি। শাহেদের ৪টি অর্থ, স্বাক্ষী , হাজের, নাজের, ও মাশুক। আবার স্বাক্ষী হতে হলে তার ৪টি গুণ থাকতে হবে। প্রথমত, ঘটনাটা স্বচক্ষে দেখা, ঘটনা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনে রাখা, যাদের জন্য স্বাক্ষ দিবেন তারা স্বাক্ষীর সামনে হাজির থাকা, এবং স্বাক্ষদাতাও স্বয়ং যাদের জন্য স্বাক্ষ দিবেন তাদের নিকট থাকা। অন্যথায় হাকিমের নিকট সঠিকভাবে ঘটনা উপস্থাপর করা কিছুতেই সম্ভব হবেনা এবং সেই স্বাক্ষীকে বিচারক কখনো গ্রহণ করবেন না। এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়ে গেল যে, নবীজীকে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা বিশ্ববাসীর জন্য স্বাক্ষী হিসেবে পাঠিয়েছেন, সেই নবীজীর নিকট উপরোক্ত যাবতীয় গুণাবলী অবশ্যই বিদ্যমান রয়েছে। অবশেষে পীরসাহেব বলেন, আনেওয়ালে কি এজ্জত দার ও মদার হোতা হায় ভেজনেওয়ালা কি এতেবার ছে। অর্থাৎ, আগমনকারীর ইজ্জত পাঠানেওয়ালার উপর নির্ভর করে। অতএব, স্বয়ং আল্লাহ যাকে পাঠিয়েছেন সেই রাসুলের ইজ্জত, পৃথিবীর সবার ঊর্ধ্বে। তিনি বলেন মোহাম্মদপুরস্থ আদর্শ ইসলামি মিশন মহিলা কামিল মাদরাসায় যারা ভর্তি হবে তাদের থাকা খাওয়া ফ্রি করে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন