মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুরে যুবদল নেতা জামাইয়ের মৃত্যুতে পাগল শশুর

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৫ পিএম

ফরিদপুর জেলা যুবদল নেতা আল-মামুন (৩২) মোটরসাইল করে ঢাকা গেলে (২৪) অক্টোবর) রবিবার, দুপুরের দিকে রাজধানীর উত্তরায় একটি লরিচাপায় ঘটনাস্হানে মারা যায়।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) পুলিশ ও হাসপাতালের কাজ, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে বিকেল ৫:৩০ মিনিটে ফরিদপুরে পৌঁছায় বলে জানাযায়।

নিহত যুবদল নেতা মামুন এবং তার পুত্রহীন শশুর মোঃ ইউনুচ মিয়ার মধ্যে ছিলো পিতা- পুত্রের মত মধুর সম্পর্ক। মেয়ের জামাইয়ের করুন ও মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর কোন রকমই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। জামাই মামুন প্রিয়, ছিল শশুর পরিবার। ফলে বার তিনি কঠিন শোকে অস্বাভাবিক আচরন করছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়,বাদ সোমবার, এশার নামাজ বাদ মৃত্যের জন্মস্হান বাড়ী ফরিদপুর সদর থানার কোমরপুরে পারিবারিক কবর স্হানে লাশ দাফন করা হবে।

নিহত মামুন ফরিদপুর জেলা যুবদল নেতা ছিলেন। তিনি জেলা শহরের কোমরপুর এলাকার বাসিন্দা তার পিতার নাম, সালাউদ্দিন হামিদ বাচ্চু। নিহতরা ছিলেন, তিন ভাই। তিনি ভাইদের মধ্য মেঝ।

নিহত মামুন কোমরপুরে ছেলে হলেও দীর্ঘ দিন যাবৎ সে তার দুই সন্তান স্ত্রী সহ সদর থানার গুহলক্ষীপুর মডেল টাউনে শশুরালয় বসবাস করতেন।

মামুনের স্ত্রীরা তিন বোন। কোন ভাই না থাকায় বৃদ্ব শশুর ও শাশুড়ির দায়ীত্ব নিয়ে সেখানই থাকতেন।

মামুন ছিলেন, এক ছেলে এক মেয়ের বাবা। বড় ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র ৯ বছরের কন্যাটি দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।

প্রসঙ্গতঃ নিহত মামুনের শশুর মোঃ ইউনুচ মিয়া, তার কোন ছেলে না থাকায়,তিনি মামুনকে ছেলের মত জানতেন এবং ভালবাসতেন। এবং মামুনও বাবা, মা হিসেবে গোটা পরিবারের দায়ীত্ব পালন করতেন।

সেই সন্তান সমতুল্য মেয়ের জামাইকে হরিয়ে এখন তিনি পাগল প্রায়। কিছুক্ষণ পরপরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ইউনুচ মিয়া।

উল্লেখ্য, মামুন ২৪ অক্টোবর, সকালে কন্যা মালিহাকে মটরগাড়িত করে শেষ বারের মত তার স্কুলে পৌঁছে দেয়। মালিহা এখন বাবার শোকে নির্বাক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন