সেঁজুতি শুভ আহমেদ
বক্তার বক্তৃতায় কেঁপে উঠলো সেমিনার কক্ষ
টেবিল চাপড়ে যুক্তি খ- করে বক্তার পর বক্তা
মুগ্ধ শ্রোতাগণ বক্তার পেশাদারী অথবা উদ্ভাবনী
নীতিবাক্যে বিমোহিত হয়ে সোরগোল করে ওঠে
পক্ষ-বিপক্ষের মাঝে উত্তেজনা আর হার-জিতের ভয়।
সেমিনার কক্ষে একটি শিশু স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায়
স্বরচিত অনর্থক শব্দমালা অতিশয় বিরক্তিসহযোগে
চেঁচিয়ে বলতে বলতে জনৈক শ্রোতার আসনটির
একটি পায়া টেনে দরে ছিনিয়ে নেবার ব্যর্থ চেষ্টায় মত্ত।
মনোযোগী শ্রোতৃবর্গ, যারা পৃথিবীর তাবৎ দর্শনের
আঁধার মনে করেছিল সেমিনার কক্ষের বক্তাদের
শিশুর এই অবাধ্য আচরণ অকারণ হাত-পা ছোড়াছুড়িতে
আর বিকট চেঁচামেচিতে ভ্রু কুঁচকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে
অবাধ্য শিশুটিকে থাকিয়ে দিতে চায়
কেউবা আবার কলমটা সন্তানের জন্য কেনা
চুইংগামের প্যাকেটটা শিশুর হাতে ধরিয়ে দেবার
চেষ্টা করে। তাতে শিশুর ক্রন্দন আরও বেড়ে চলে।
ওর কথা ও বহুক্ষণ শ্রোতাদের অস্বস্তিকর গুঞ্জন আর
বক্তার যতসব দূরালাপ হজম করেছে। আর কত সহ্য
হয় বক্তার বকবকানি শ্রোতাদের অনর্থক করতালি
তার উপর আবার আসন না দেওয়া? শাসন?
কেনরে বাবা এতো অবিচার শিশুটি ভাবে,
আসনটি তার জিম্মায় দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়
মনের মতো একপশলা খেলা সাঙ্গ করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন