সারা বিশ্বে ২ এপ্রিল তারিখটা বিশ্ব অটিজম অ্যাওয়ারনেস ডে হিসেবে পালন করা হয়। অটিজম রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা খুব চিন্তিত থাকে। দেখা যায় এদের বুদ্ধির বিকাশ সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম। সেখানে আবদুর রহমান বিন উসমান আল আবরির কৃতিত্ব সমাজের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
গোটা বিশ্বে অটিজম রোগে আক্রান্তদের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকল ওমানের এক শিশু। জটিল স্নায়বিক এ রোগটিকে হারিয়ে ছোট্ট বয়সেই পবিত্র কুরআন হিফজ করেছে ওমানের আবদুর রহমান বিন উসমান আল আবরি। মাত্র ৯ বছর বয়সেই কুরআন হিফজ করে সে তার তীক্ষ্ণ মেধার পরিচয় দিয়েছে। এর জন্য তাকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আহমদ বিন হামাদ আল খলিলি তাকে সম্মাননা প্রদান করেন। ওমান অবজার্ভারের প্রতিবেদনে এই খবরটি জানানো হয়।
ওমানের ওয়াকফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আবদুর রহমানকে সম্মান জানাতে পেরে খুব খুশি। এত ছোট বয়সেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে, মহান করেছে আবদুর। এই অধ্যবসায়ের পেছনে তার বাবা-মা ও শিক্ষকের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আহমদ শিশুকে সম্মাননা জানিয়ে বলেন, ‘পবিত্র কুরআন হিফজের জন্য সঠিক পরিকল্পনা, অধ্যবসায় ও ধারাবাহিকতা প্রয়োজন আছে। এ ছোট্ট ছেলেটি অটিজমকে পরাজিত করে বড় কিছু অর্জন করেছে।’
আবদুর রহমান অর্টিজমে আক্রান্ত হওয়ার পরও ধারাবাহিকভাবে পবিত্র কুরআন হিফজ করে। আবদুর রহমানের এই মহান কাজের পেছনে উৎসাহ জুগিয়েছেন মা ও শিক্ষক রুকাইয়া আল আবরিয়া। ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আহমদ বলেন, শিশু আবদুর রহমানের এই প্রচেষ্টা বিশ্বের রোগে ভোগা অগণিত শিশুর জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে। সূত্র : পুবের কলম
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন