জাপানের রাজধানী টোকিওতে একটি পাতাল ট্রেনে ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত দিয়ে জাপানি গণমাধ্যম জাপান টাইমস জানিয়েছে, কিয়োটা হাত্তরি নামে ২৪ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত যুবক পুলিশকে বলেছেন তিনি ‘লোকজনকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন’। খবরে বলা হয়েছে, টোকিওর কেইও লাইনে চলাচলকারী একটি ট্রেনের এক বগিতে ওই হামলাকারী তরল দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বগিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর তিনি যাত্রীদের ওপর ছুরি হাতে হামলা চালান। এ ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ট্রেনের জানালা ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন। ট্রেনের এক যাত্রী বলেছেন, হামলাকারীর হাতে রক্তমাখা ছুরি দেখে তিনি ভেবেছিলেন এটা হ্যালোইন উৎসবের কোনো তামাশা হতে পারে। আহত ১৭ জনের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর এক খবরে বলা হয়, জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপকে ভুল প্রমাণ করে সহজ জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। তবে আগের চেয়ে কিছু আসন কমেছে তাদের। তারপরও রোববারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে দলটি। এলডিপির এ জয়ে উদ্বেগ নিরসন হওয়ায় জাপানের স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্ষণশীল দল এলডিপি মাত্র কয়েক বছর বাদে বাকি সবসময়ই জাপানের ক্ষমতায় ছিল। এলডিপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে না, রোববার প্রাথমিক বুথ ফেরত জরিপে এমন ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। এমনটি হলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে জোট সঙ্গীক্ষুদ্র অংশীদার কোমেইতো পার্টির ওপর নির্ভর করতে হতো ক্ষমতাসীন দলটিকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এলডিপি ২৬১ আসনে জয় পায়। আগের ২৭৬টি থেকে এবার আসন সংখ্যা কিছুটা কমলেও তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় আছে। এতে সহজেই পার্লামেন্ট কমিটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ, গুরুত্বপূর্ণ বাজেট প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রস্তাব পাস করতে পারবে তারা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী কিশিদা জানান, নির্বাচনের এ জয়কে গুরুত্বপূর্ণ নীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যবহার করবেন তিনি, এরমধ্যে মহামারীজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বাজেট পাসের বিষয়টিও থাকবে। জাপান টাইমস, কিয়োডো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন