বিনোদন ডেস্ক : টোকিও-তে জাপানের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও-২০১৬’-এ আমন্ত্রিত হয়ে সাফল্যজনকভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে গত ৯ নভেম্বর রাতে দেশে ফিরেছেন তরুণ নাট্যজন জাহিদ রিপন। উৎসবে যোগদানের জন্য গত ৩ নভেম্বর জাপন যান তিনি। জাপানের প্রধান থিয়েটার টোকিও মেট্রোপলিটন থিয়েটারের ‘এটলিয়ার ইস্ট’ হলে ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও’-তে নির্ধারিত লেকচার অনুষ্ঠানে ৬ নভেম্বর ‘ট্রাডিশনাল অ্যান্ড কনটেম্পরারি থিয়েটার অব বাংলাদেশ’ (‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সমকালীন নাট্যচর্চা’) শীর্ষক বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, উৎসব-কর্মশালার অংশগ্রহণকারী, সাধারণ নাট্যকর্মী, দর্শক এবং ফেস্টিভ্যাল টোকিও-র কর্মকর্তবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাহিদ রিপন উৎসবে পরিবেশিত মালয়েশিয়ার প্রযোজনা ‘বন্ডিংস’, উন্মুক্ত মাঠে জাপানের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা ‘ডাইডেনগন’ এবং বর্তমান সময়ে জাপানে অন্যতম আলোচিত প্রযোজনা ‘সাকুরা’ দরশন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর উৎসবের অংশ হিসেবে এবং সরেজমিন গবেষণার জন্য হিরোশিমায় পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, পিস পার্ক, হিরোশিমা ডোম, সাদাকো সাসাকি-র মনুমেন্ট প্রভৃতি ভ্রমণ করেন জাহিদ রিপন। এছাড়া জাপানের উৎসবসমূহে বাংলাদেশের নাট্যপ্রযোজনার মঞ্চায়নের সম্ভাবনা নিয়ে ‘ফেস্টিভ্যাল টোকিও’-র ডিরেক্টর সাচিও ইচিমুরা, ভাইস ডিরেক্টর চাইকা কাওয়াই প্রমুখ এবং ‘হিরোশিমা পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’-এর ডিরেক্টর কেনজি শিগা এবং কালচারাল বিভাগের প্রধান রিই নাকানিশি-র সঙ্গে দুটি সফল বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় এ সফরে। পাশাপাশি, জাহিদ রিপন প্রবাসী বাঙালি নাট্যকর্মী-লেখকদের সঙ্গেও মতবিনিমিয়ে অংশগ্রহণ করেন। জাপান সফর সম্পর্কে জাহিদ রিপন বলেন, ‘এবারের সফর ছিল সর্বোচ্চ মাত্রায় সফল। আসলে বাংলাদেশের থিয়েটার সম্পর্কে জাপানিদের প্রায় কোনো ধারণা ছিল না। আমার মাধ্যমে তারা সেটি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের প্রচÐ আগ্রহে আমি মুগ্ধ হয়েছি। পাশাপাশি তাদের থিয়েটার থেকে অভিজ্ঞতা লাভ করে আমি সমৃদ্ধ হয়েছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই বিনিমিয়টা নতুন নতুন মাত্রা লাভ করবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন