চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সংঘাতের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি চমেক বন্ধ ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মেডিকেল কলেজ বন্ধ নয়, গুণ্ডামি বন্ধ করুন। বিবৃতিতে সুজন বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, যে মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হওয়ার কথা, সেই মেডিকেল কলেজ আজ গুণ্ডামিতে ভরপুর। আধিপত্য বিস্তারের নামে অথবা ঠুনকো বিষয় নিয়ে চমেক ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হচ্ছে বার বার। সর্বশেষ চমেকের ছাত্র মাহাদি জে আকিবের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে এই ছবি নাড়া দিয়েছে। মাথায় সাদা ব্যান্ডেজের উপর লেখা- হাড় নেই, চাপ দেবেন না। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য কীভাবে সহ্য করা যায় !’
‘আকিব ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে আইসিইউ বেডে কাতরাচ্ছে, একজন পিতা হিসেবে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসক হয়ে রোগীর সেবা করাই ছিল যার জীবনের ব্রত, সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’
সুজন বলেন, ‘এসব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে রক্ষা করা এখন সকলের দায়িত্ব। যারা বার বার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে নয়, মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া এসব সন্ত্রাসীদের মেডিকেল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এসব সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে- এসব গুণ্ডামির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের লাগাম টেনে ধরা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে চমেক খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান খোরশেদ আলম সুজন।
গত শুক্রবার রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে শনিবার ক্যাম্পাসে উপমন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবকে (২১) মারধর করে নাছির অনুসারীরা। পরে দুইপক্ষে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটে। মাহাদি জে আকিব চমেকের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গুরুতর আহত আকিবের অস্ত্রোপচার হয় শনিবার। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা আকিবের মাথায় ব্যান্ডেজ মোড়ানো। সেখানে লেখা আছে- ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না।’ নিচে একটি বিপদজনক চিহ্নও এঁকে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন