সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের নির্দেশেই তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন আলোচিত এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
পাঁচ বছর আগে মিতু খুনের সময় কামরুল শিকদার বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। কামরুল শিকদারই বাবুলের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন বলে এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা জানিয়েছেন। এহতেশামকে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে বিকেলে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দি দেন তিনি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে এহতেশাম বলেন, বাবুল আক্তার ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার সোর্স ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। কামরুলের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল এহতেশামের। এহতেশামের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় মামলা রয়েছে ২০টি। কামরুল এহতেশামকে বাবুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এর পর থেকে বাবুলকে বিভিন্ন তথ্য দিতেন এহতেশাম। নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় গুলি করতে যাওয়া এক ব্যক্তির তথ্য বাবুলকে দেন এহতেশাম। ওই ঘটনার আসামি ধরে বাবুল বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন