শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিসিআইসির আমদানীকরা ২৯৭ মে: টন ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তায় কম!

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোস্তফা মাজেদ, ঝিনাইদহ থেকে ঃ হাজার হাজার বস্তা সার গায়েবের পর এবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে অবস্থিত সরকারী বাফার সার গুদামে বিসিআইসি’র আমদানীকৃত ২৯৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তায় ওজনে কম ধরা পড়েছে। বিসিআইসি এই সার আমদানী করে গুদামজাত করার জন্য বৃহস্পতিবার ৩৩টি ট্রাকে করে ঝিনাইদহের বাফা’র গুদামে পাঠায়। প্রতি বস্তায় সার কম থাকার খবরটি জানাজানি হলে ডিলারদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বার বার প্রতি বস্তায় ইউরিয়া সার কম দিয়ে বড় ধরনের আর্থিক জালিয়াতি করা হচ্ছে বলেও ডিলারদের অভিযোগ। এর আগে কালীগঞ্জ বাফার গোডাউন থেকে সরকারী হিসাবে ৫৪৭ মেট্রিন টন অর্থাৎ ১০ হাজার ৯৪০ বস্তা সারের কোন হদিস মিলছে না। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এদিকে প্রতি ইউরিয়া সারের বস্তায় ওজনে কম থাকার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম ও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাফার গোডাউন পরিদর্শন করেন। এ সময় বাফার গোডাউন ইনচার্জ মাসুদ রানা কয়েকটি বাস্তা মেপে সার কম রয়েছে বলে নিশ্চিত হন। এরপর স্থানীয়রা ডিলারদের আপত্তির মুখে গোডাউন কর্তৃপক্ষ সার রিসিভ করেনি। জানা গেছে, সউদী আরব থেকে ওজনে কম দেয়া এই সার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ঢাকার সাউথ ডেল্টা শিপিং এন্ড ট্রেডিং লি: আমদানী করে। গত ২২ জুলাই নবাব এন্ড কোম্পানীর ১৬টি ট্রাকে আসা ৩শ’ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি কম পাওয়া যায়। সে সময় বিষয়টি জানাজানি হলে সার প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান নবাব এন্ড কোং প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে সার ভরে রিব্যাগিং করে বাফার কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়। ডিলারদের অভিযোগের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় গোডাউন চত্বরে ৩৩টি সার বোঝায় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। গোডাউন ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, আমদানীকৃত সারের প্রতি বস্তায় ওজনে কম রয়েছে। এরপর সার আনলোড বন্ধ করে দিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, রিব্যাগিং করে ৫০ কেজি করেই ডিলারদের সার সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি ও ডিলার জাহাঙ্গীর জানান, আমরা স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার গোডাউনে গিয়ে সার মেপে কম পেয়েছি। কর্তৃপক্ষকে বলেছি, প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি সার বুঝিয়ে দিলে এই সার গ্রহণ করবো। তিনি অভিযোগ করেন, এর আগে এই গোডাউন থেকে ডিলারদের মাঝে ওজনে কম, নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয়। যার ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। বাফার গোডাউন সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় এ গোডাউন থেকে ২১৫ জন তালিকাভুক্ত ডিলারের মাঝে সার সরবরাহ করা হয়। ডিলাররা এই সার উত্তোলন করে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন