দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে। লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। বুধবার রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হয়েছে জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও এই জ্বালানির তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এদিকে দাম বৃদ্ধিতে নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিভিন্ন শ্রম-পেশার মানুষ, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্যে ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ডিজেল আর কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে মাত্র পনেরো টাকা। যমুনা সেতুর টোল বেড়েছে প্রায় চল্লিশ শতাংশ। লুটেরাদের ভর্তুকি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নাও অপদার্থ গরীব চাষাভূষার দল, চুপ থাকো, উল্লাসে হাসো, শ্লোগান দাও। ......’
রবিউল ইসলাম লিখেছেন, ‘হায়রে দেশ! ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বেড়ে গেলো। দেশটা দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষগুলো আজ অসহায়।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে দেলোয়ার লিখেছেন, ‘প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সরকার আর সরকার দলীয় আমলারা দেশটাকে করুণ পরিণতি দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
এমডি মুন্না মাহমুদ মনে করেন, ‘এটা সরকারের উচিত হয় নি। এ সরকার তো আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয় নি, তাই আমাদের অনুরোধ শুনবে না।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহিন আলম লিখেছেন, ‘সাধারণ জনগণ কেরোসিন খেয়েই মরে যাক,তাতে সরকারের কি? নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেশী। দেশ যতোই ডিজিটাল হোক, জনগণ অর্ধাহারে, অনাহারে থাকলে এই ডিজিটাল; জনগণের কাজে লাগবে না। একটু বেশীই করছে সরকার.......’
প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
কাওসার আহমেদের প্রশ্ন, ‘যেখানে ভারতে তেলের দাম কমছে, সেখানে আমাদের দেশে কেন বাড়ছে?’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন