স্পোর্টস ডেস্ক : ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে ব্যক্তিগত ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করাটা আসলেই বিশেষ কিছু। তেমনি এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এ জন্য তাকে করতে হবে আর মাত্র দুই গোল। গোল করা যার কাছে ‘ছেলের হাতের মোয়া’ তার কাছে এ আর এমন কি। চাইলে আজই উদযাপনটা সেরে ফেলতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
২১ বছর ধরে আসরে জয়ের অপেক্ষায় থাকা পোলিশ ক্লাব লেজিয়া ওয়ার্শজাওয়ার বিপক্ষে এমন আশা করতেই পারেন ‘সিআর-সেভেন’। প্রথম দুই ম্যাচে দু’দলের গোল পার্থক্যও (৮) বলে লস বøাঙ্কোসদের সম্ভভব্য বড় ব্যবধানের জয়ের কথা। তাছাড়া খেলাটাও বার্নাব্যুতে। টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত ও নিজেদের মাঠে টানা আট ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও জিনেদিন জিদানের দলের হয়েই কথা বলে। টানা ৪ ম্যাচ ড্র থাকার গেরো তারা কাটিয়েছে লা লিগায় শেষ ম্যাচে রিয়াল বেটিসকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। ৩ ম্যাচ পর গোলেও ফিরেছেন রোনালদো। মৌসুমে ৯ ম্যাচে এখন তার গোল সংখ্যা ৯টি। সব কিছুই ৩ বারের বিশ্বসেরার পক্ষেই কথা বলে, এখন তা করে দেখানোর পালা।
জিদানও খুশি শিষ্যদের বর্তমান পারফরম্যান্সে, ‘প্রস্তুতিতে আমি সন্তুষ্ট। যখন সবকিছু ঠিকমতো চলে, তখন আমরা অর্জনের আশা করতেই পারি। বেটিসের বিপক্ষে ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের ওপর আমি খুশি। দুর্দান্তভাবে তারা ম্যাচটি শেষ করেছিল। এখন এটা আমাদের নতুন দিনে নতুন খেলা।’ অধিনায়ক সার্জিও রামোস ছাড়া পুরো দলকেই পচ্ছেন জিদান। চোট কাটিয়ে হামেস রড্রিগুয়েজের ফেরাটাও নিশ্চিত করেছেন সাবেক ফরাসি তারকা। প্রতিপক্ষ অচেনা হলেও শেষ ৫ ম্যাচের তিনটি হার ও মাত্র একটিতে জয় পাওয়া দলের বিপক্ষে জয়ের আশা করতেই পারেন বার্নাব্যু ভক্তরা।
রিয়ালের চেয়েও এক ম্যাচ বেশি অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে আজ মাঠে নামছে ডেনমার্কের দল কোপেনহেগেনও। প্রতিপক্ষ ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটি। খেলাটা অবশ্য লেস্টারের মাঠে। তবে লেস্টারের সাম্প্রতিক ফর্মই হতে পারে ড্যানিশ দলের প্রেরণার উৎস। শেষ ৫ ম্যাচের ৩টিতেই যে হারতে হয়েছে ক্লাদিও রেনিয়েরির দলকে। তবে আসরের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতিহাস যাত্রাটা ভালোই হয়েছে ফক্সদের। অচেনা প্রতিপক্ষের সাথে আজ ভার্ডি-মাহরেজরা কিরূপে দেখা দেন সেটাই এখন দেখার।
টানা ২০ ম্যাচ ঘরের মাটে জয়ের রেকর্ড নিয়ে মাঠে নামছে ইতালি চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসও। তুরিনে বুফন-হিগুয়েইন-দিবালাদের প্রতিপক্ষ ফরাসি ক্লাব লিঁও। সিএসকেএ মস্কো ও মোনাকোর মধ্যকার ম্যাচকেও আলোচনায় এনেছে ইগোর আকিনফেভের বিরল এক হতাশাময় কীর্তি। প্রায় এক দশক পার হতে চলল যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষবারের জন্য নিজের পোস্টকে অক্ষত রাখতে পেরেছিলেন রুশ গোলকিপার। গেল মৌসুমে টটেনহামের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত গোল হজম করতেই হয়েছিল তাদের। আজ কি পারবেন তিনি সেই আক্ষেপ মেটাতে? তবে কাজটা অবশ্যই তার সহজ হবে না। নিজেদের শেষ ম্যাচে যে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে সর্বোচ্চ গোলের (৭-০) রেকর্ড গড়ে এসেছে ফরাসি দল মোনাকো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন