বগুড়ার কাহালু উপজেলার বৃহত্তম নারহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দুইটি মামলার চার্জশিটসহ বহুমুখী প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে পুনরায় আসন্ন নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে তৎপর হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষমতাসীনদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনীহা দেখা দেখা দিয়েছে ।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ধারণা তাকে পুনরায় নৌকার মাঝি করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটের দিনে ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এই সুযোগে স্বতন্ত্র বা অন্য কোন দলের প্রার্থী সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবে।
এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাকুরি প্রদান বা জমাজমি ক্রয়ের নামে নারহ্ট্ট ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বেলাল কল্যানপুর বিনোদ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে চাকুরি প্রদানের আশ^াসে টাকা নিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা, একইভাবে শিকড় গ্রামের আপেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, জমি বিক্রিয় করে দেয়ার নামে বিবির পুকুর গ্রামের রুহুল আমিনের কাছে থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, একই গ্রামের মেহের আলীর কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা, আলহাজ¦ রহমানের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা এবং লোহাজাল গ্রামের হারুনের কাছ নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ।
এই ধরনের সুনির্দিষ্ট ঘটনা ছাড়া আরও অন্তত ৫০ জনের কাছে তিনি বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের তফশীল ঘোষণা হলে তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বোর্ডের মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
এদিকে চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের সাথে অভিযোগ গুলো সম্পর্কে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অপরাধ করলে থানা পুলিশ দুদক রযেছে তারাই অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন