পঞ্চম ধাপের ৭০৮ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন। গত চার ধাপের নির্বাচনে বিচ্ছিন্নভাবে জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। অন্যান্য ধাপের নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ভাঙচুর চলছে বাড়ি-ঘর ও নির্বাচনী ক্যাম্পে। হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চম ধাপের ভোট হতে যাচ্ছে।
আজ বুধবার এসব ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার মধ্যরাতে এ ধাপের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। শেষদিনে দিনভর প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত সময়ে কাটিয়েছেন। ভোটগ্রহণ সামনে রেখে গত সোমবার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। এছাড়া আচরণবিধি দেখভালে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও রয়েছেন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ধাপের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও দলটির বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকায় সহিংসতার শঙ্কাও রয়েছে। যদিও ৪৮ জন চেয়ারম্যানসহ ১৯৩ জন জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে সংরক্ষিত পদের সদস্য ৩৩ জন এবং সাধারণ সদস্য ১১২ জন। বাকি পদগুলোতে ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৭ হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২১ জন। এ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫২ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ১০৯ জন বিনা ভোটে জয়ী হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন