সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে তুরাগ নদীর উপরে শতবর্ষী পুরোনো ব্রিজটির ধসে পড়া অংশের । কাজ শেষ হতে ১০-১২ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিআরটি প্রকল্প পরিচালক (ব্রিজ) মহিরুল ইসলাম। আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি পরিদর্শন শেষে তিনি কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গী বাজারের পাশে ব্রিজটির পাটাতন ধসে পড়ে। পরে লোহার পাটাতন দিয়ে সাময়িক যান চলাচল সচল রাখা হয়। তবে পরিদর্শন শেষে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বুধবার রাত ১টা থেকে ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখে বিআরটি কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ রাখায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যানজট তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজট। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় সন্ধ্যার পর যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই যানজটের ধারাবাহিকতা ছিল ছুটির দিন শুক্র এবং শনিবারও।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের দক্ষিণ জোনের পুলিশ পরিদর্শক শাহাদত হোসেন জানান, উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরিবহন এ রুট দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতো। বৃহস্পতিবার ঢাকার গাড়িগুলো সরাসরি টঙ্গী বাজার এলাকার বেইলি ব্রিজ দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করানো হয়। গাজীপুরের গাড়িগুলো টঙ্গী মিলগেট হয়ে কামারপাড়া সড়ক দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। ফলে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে দিনভর যানজট ছিল। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষামূলক উত্তরবঙ্গের পরিবহন সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় নিচ্ছি। ঢাকার গাড়িগুলো কামারপাড়া সড়ক দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। এতে কিছুটা সুফল মিলেছে।
এছাড়াও ঢাকা-আশুলিয়া বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে যেসব পরিবহন আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতো সেসব পরিবহন কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানার পুলিশ সদস্যরাও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে। যেহেতু শনিবার সরকারি ছুটির দিন তাই যানজট তেমন নেই। বাসচালক ইকবাল হোসেন বলেন, এ মহাসড়কে প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিআরটির প্রকল্পের উন্নয়নকাজের ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এ কাজ চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গী ব্রিজে সড়কের ঢাকা অভিমুখী লেনটি ফাঁকা। উল্টো লেনে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। ১৫-২০ মিনিট পর আনুমানিক চার-পাঁচ ফুট করে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে আসা পিকআপভ্যানের চালক রমজান আলী যাবেন ময়মনসিংহে। তিনি জানান, ব্রিজ পার হতে তার সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন