খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খাদ্য মজুত বাড়াতে এবং কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) ক্যাম্পাসে রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। এখন পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। নারায়ণগঞ্জ রাইস সাইলো এবং কার্নেল ফ্যাক্টরি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সারা দেশে খাদ্য গুদামগুলো ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এর ফলে অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই কোথায় কোন গুদামে পণ্য ঢুকছে। বের হচ্ছে তা জানা সম্ভব হবে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান।
পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দেশ আজ স্বাধীন না হলে আমরা মন্ত্রী-এমপি, ডিসি, এসপি হতে পারতাম না। যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন তাকে হত্যা করা হলো। এর চেয়ে কষ্টের কিছুই নেই।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশে বর্তমানে যেসব সাইলো আছে সেসব সাইলোর ধারণক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কমপক্ষে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার সাইলোর প্রয়োজন। এ জন্য নতুন সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন সাইলোর ধারণক্ষমতা হবে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। সাইলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। তিনি বলেন, আটটি আধুনিক সাইলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বরিশাল, খুলনা, নওগাঁ ও আশুগঞ্জসহ দেশের আটটি স্থানে এই ধরনের সাইলো নির্মাণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন