কক্সবাজার শহরের ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আবারও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সাধারণের দাবি, বারবার নানা অপকর্ম করে গেলেও কোন ধরণের ব্যবস্থা না নেয়ায় হাসপাতালটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ মতে, এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দুই মাসের এক শিশু। শিশুটি রামু উপজেলার পানিরছড়া রবি আলমের ছেলে। গত শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবা রবি আলমের দাবি, গত ১১ নভেম্বর তার শিশু ছেলে আবু তালেবকে সামান্য ঠান্ডাজনিত কারণে ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে ভর্তি করান। দুইদিনে আমার শিশু স¤পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠে। সুস্থ হওয়ার পর শিশুটি সবার সাথে খেলাও করছিল। এই অবস্থায় গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে পারুল নামে একজন নার্স এসে শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন দেয়ার পর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে শিশুটি চিৎকার করে খিচুনি দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল করিম খান এসে শিশুটিকে দেখে নার্সকে অবহেলা ও ‘ভুল ইনজেকশন’ দেয়ার কারণে বকাঝকা করেন। এসময় ওই নার্স পালিয়ে যান।
রোগীর স্বজন রাহাত বলেন, শিশুটি মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত কাগজপত্র লুকিয়ে ফেলে। স্বজনরা কান্নাকাটি করলে উল্টো তাদের মারতে তেড়ে আসে হাসপাতালের কর্মচারীরা। পরে স্বজনরা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালের সহকারি ম্যানেজার মো. সলিম উল্লাহ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, কেউ ইচ্ছে করে রোগীকে মেরে ফেলে না। ভর্তির পর থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। বিভিন্ন সময়ের অভিযোগ মতে, ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভর্তি ও চিকিৎসার জন্য বেপরোয়াভাবে ‘গলা কাটছে’ রোগীদের। তেমন কোন ছাড়ও পাওয়া যায় না এই হাসপাতালে। ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় একের পর এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এখন পযন্ত প্রশাসন একটি ঘটনারও ব্যবস্থা নেয়নি। এই কারণে দিন দিন রোগিদের সাথে বেপরোয়া আচরণ করে যাচ্ছে আল ফুয়াদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই হাসপাতাল থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের আশ্রয়প্রশ্রয় দেয়। এই কারণে বারবার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন