স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ছিলো গতকাল। এ উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রæপের পৃষ্ঠপোষকতায় কালই শুরু হয়েছে শেখ রাসেল স্কুল টেবিল টেনিস (টিটি) প্রতিযোগিতা। পল্টনস্থ শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল করিম, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, ডাইরেক্টর ইনচার্জ ইসমত জামিল আখন্দ লাভলু এবং টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক এনায়েত হোসেন মারুফ। দেশের ৪২টি স্কুলের প্রায় আড়াইশ’ ছাত্রছাত্রীর কলকাকলীতে দীর্ঘদিন পর উৎসব মুখর হয়ে ওঠে শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম। চার দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে প্রতিযোগীরা সাতটি ইভেন্টে খেলবে। ইভেন্টগুলো হলো- বালক ও বালিকা দলগত, বালক ও বালিকা একক সাব জুনিয়র, বালক ও বালিকা একক জুনিয়র এবং প্রতিবন্ধী একক। চারটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থী এই টুর্নামেন্টের একক ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। স্কুলগুলো হলো- সুইড স্কুল, প্রয়াস স্কুল, বিউটিফুল মাইন্স স্কুল ও পাবনা স্পেশাল স্কুল।
শেখ রাসেল স্কুল টিটি’র উদ্বোধন করতে এসে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘শেখ রাসেল আজ বেঁচে থাকলে তার ৫২ বছর পূর্ণ হতো। আমার মনে পড়ে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমি জাপানে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে উনার ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং ছোট্ট শেখ রাসেলও গিয়েছিল। স্মৃতির পাতায় আজও ভেসে ওঠে শেখ রাসেলের মুখটি। আবেগ জড়ানো কণ্ঠে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখনি তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে যেতেন, তখনি ছুটে আসতো ছোট্ট শেখ রাসেল। তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেন বাবা বঙ্গবন্ধু। আজ বনানীর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত রাসেল। অথচ ১৯৭৫ সালে নৃশংস হত্যাকাÐের পর বিএনপি-জামায়াত সরকার সেই খুনীদের প্রমোট করেছে। বিভিন্ন দেশে দূতাবাস করে পাঠিয়েছে। গাড়িতে দেশের পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা সেই সব খুনীদের বের করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জাতিকে দায়মুক্ত করছি।’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন