স্পোর্টস ডেস্ক : পরশু রাতে যারা মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের খেলা দেখার জন্য টিভি সেটের সামনে বসেছিলেন তারা শুরুতেই নির্ঘাত একটা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছিলেন। ভালেন্সিয়ার মাঠে কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের মত ম্যাচ, অথচ বার্সেলোনার একাদশে দেখা মিলছে না ‘এমএনএস’-ত্রয়ীসহ দলের সেরা একাদশের প্রায় কাউকেই। সাইডলাইনেও দেখা যাচ্ছে না চিন্তিত লুইস এনরিকের। তার পরিবর্তে মাসতালা স্টেডিয়ামের সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের গলা ফাঁটিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন সহকারী জন কার্লোস আনজু। এনরিকে চুপচাপ বসে পিছনের ছিটে।
প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা ৭-০ গোলে জেতায় ম্যাচটা শুধুই হয়ে দাঁড়ায় নিয়ম রক্ষার। তাই এত রদবদল। ম্যাচটি অবশ্য জিততে পারেনি বার্সেলোনা। ড্র করেছে ১-১ গোলে। তবে এই ম্যাচের মাধ্যমেই যে একটা রেকর্ড করে ফেলল কাতালান দলটি। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। আগের ম্যাচে লেভেন্তেকে ২-০ গোলে হারিয়ে পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০১০-১১ মৌসুমে বার্সার গড়া আগের রেকর্ডটি ছুঁয়েছিল এনরিকের বার্সেলোনা। কোন স্প্যানিশ ক্লাবের টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড এটি। সেই হিসাবে বার্সাকে ছাপিয়ে রেকর্ডটি এনরিকের বলা যায়।
ডাগ আউটে নিশ্চুপ বসেছিলেন কেন এনরিকে? এমন প্রশ্নে ৪৫ বছর বয়সী কৌতুকভরা কণ্ঠে বলেনÑ ‘এটা আমার কণ্ঠকে বিশ্রাম দেয়ার জন্য। প্রতি তিনদিন পর এমন চিল্লানোর মত স্বর আমার নেই।’ কৌতুক ছেড়ে পরে অবশ্য আসল কারণটা জানান বার্সা কোচÑ ‘জন কার্লোস এবং আমার কৌসলটা একই ছিল এবং সে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল, আমিও তাকে সেটা করতে দিলাম।’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ম্যাচে দ্বিতীয় সারীর দল নামান তিনি। মাঠে তরুণদের পাফর্মেন্সে নিজের খুশীর কথায় জানালেন কাতালান গুরুÑ ‘ছেলেরা যেভাবে খেলা শেষ করেছে আমি তাতে খুশি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন