গ্রিসের একটি জাতীয় দৈনিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তাকে নিয়ে ‘অপমানজনক শিরোনাম’ করায় এ ব্যবস্থা নিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোগানের এই উদ্যোগকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরা হিসেবে দেখছে গ্রিসের সংবাদপত্রটি। খবর ভয়েস অব আমেরিকার। এরদোগানের অভিযোগ, দৈনিক গ্রিক ডেমোক্রেটিয়া তাকে নিয়ে অশালীন শিরোনাম করেছে, যেটি তার সুনামের জন্য ক্ষতিকর। এরদোগানের সমালোচনা করা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম নজির নয়। তুরস্কে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এমন বহু গণমাধ্যম এর আগে বন্ধ করে দিয়েছেন এরদোগান। গ্রিক ডেমোক্রেটিয়ার সম্পাদক দাবি করেছেন, তুরস্কের বাইরে পশ্চিমা দেশগুলোর গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে তারাই প্রথম তুর্কি প্রেসিডেন্টের টার্গেটে পরিণত হলেন। বিষয়টি আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে। তবে গ্রিস সরকার এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। গ্রিক ডেমোক্রেটিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক দিমিত্রি রিজোলিস বলেন, গোটা জাতির উচিত এরদোগানের এ মামলার প্রতিবাদ করা। তিনি বলেন, এরদোগান শুধু পত্রিকাটির সম্পাদক ও সাংবাদিকদেরই অপমান করেননি, তিনি গোটা জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরদোগান ফৌজদারি অভিযোগ করে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তুরস্কের আদালতে। দিমিত্রি রিজোলিস বলেন, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থান নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ পুরনো। গত সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে গ্রিক ডেমোক্রেটিয়া একটি সংবাদ প্রকাশ করে। যেটি নিয়ে তুরস্কে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর ডেইলি সাবাহর। এতে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে ফোনে আঙ্কারা-কিয়েভের মধ্যে সম্পর্কসহ আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে, রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনসহ দেশটির কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন, আমরা রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অন্যদিকে ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে বলছে, বাইডেন প্রশাসন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় মিত্রদের সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে। এ সতর্কতার পর, ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেন, কিয়েভের সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের ঘটনায় পশ্চিমা সামরিক জোট ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। এ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধী ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক। আঙ্কারা ইউক্রেনের অখণ্ডতার সমর্থক। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘও রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করে। ভিওএ, ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন