জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত। মওলানা ভাসানী ১৯৭০ সালের ২৩ নভেম্বর পল্টন ময়দানে স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘোষণা দেন, তিনিই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। মওলানা ভাসানীকে অস্বীকার করার অর্থ বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। আগামীতে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
জাগপা সভাপতি আরো বলেন, দেশের চলমান জাতীয় সঙ্কটে, গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে, বাক স্বাধীনতাহীন সমাজে, দুর্নীতি আর ভোগান্তির রাজ্যে একজন ভাসানীর অভাব আমরা সবাই অনুভব করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিশেহারা সময়ে, সরকারের বিবেকহীন ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ক্রন্দনে দেশ জাতি জনগণ একজন ভাসানীর অভাব অনুভব করছে। দুঃখের সাথে স্বীকার করতে হবে আমরা সকল বিরোধী দল জাতীয় সঙ্কটে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ। আমাদের মাঝে আজ ভাসানী থাকলে তার নেতৃত্ব পারতো ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এবং জাতীয় সঙ্কটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে।
গতকাল বুধবার মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৫তম ওফাত দিবস উপলক্ষে আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘দেশের চলমান জাতীয় সঙ্কট পরিবর্তনের দাবিতে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে’ যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যুব জাগপা’র সভাপতি আরিফুল হক তুহিনের সভাপতিত্বে যুবসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসান আলম আক্কাস, ঢাকা মহানগর যুব জাগপা আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব জাগপা সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, যুব নেতা আনোয়ার, বিপুল প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন