রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ট্রফিতে চোখ ক্যারিবিয় যুবাদের

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : যে দলটি প্রাক বিশ্বকাপ সিরিজে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে হেরে গেছে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০তে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিতর্কিত রান আউটে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকে সেই দলটিই কি না একটার পর একটা আপসেটের জন্ম দিচ্ছে। ৬০ বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে সেমিতে স্বাগতিক বাংলাদেশকে কৌশলে করেছে বন্দি এই দলটিই। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো উইন্ডিজ ফাইনালে উঠতে পারায় তাই দারুন খুশি অধিনায়ক শিমরন হেটমেয়ার। স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাওয়ায় এখন ট্রফিতে চোখ তার। আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারী ভারত যুবাদের হারিয়ে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন তিনিÑ ‘খুব, খুব ভালো লাগছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে আমরা যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলাম। আমাদের দারুণ লাগছে, ক্যারিবিয়ানেও নিশ্চয়ই সবাই খুব খুশি! যদি ফাইনালেও আমরা আজকের মত খেলতে পারি, হয়তো ফাইনালও জিতে যাব।’
বাংলাদেশের কাছে এক মাস আগে ৩-০তে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর ঘুরে দাঁড়ানো ক্যারিবিয়ান যুবাদের এমন উন্থানের পেছনে বাংলাদেশের কন্ডিশন এবং পীচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াকেই অন্যতম কারন হিসেবে দেখছেন উইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়কÑ ‘এই কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম না তখন, তাছাড়া বাংলাদেশে এসে স্পিনের মুখে পড়তে হয়েছিল। সে কারনেই এই আবহাওয়া এবং পীচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া দরকার ছিল।’
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলকে বিশাল দর্শকের সমর্থন তাদের স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত করেনি, সেটাও জানিয়েছেন তিনিÑ ‘১০ হাজার দর্শকের সামনে খেলেছি, তা একবারও মাথায় আনিনি। এর আগেও আমি অনেক দর্শকের সামনে খেলেছি, তাই এই পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া কঠিন হয়নি। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে যথেস্ট টেনশনে রেখেছে তাকে। দলের প্রয়োজনে নিজেকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হেটমেয়ার জানিয়েছেন তাÑ ‘হ্যাঁ, টেনশন তো ছিলই। আমি ছিলাম থিতু ব্যাটসম্যান, অনায়াসেই শট খেলছিলাম, বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান হচ্ছিলো। তারপরও ড্রেসিংরুমও খানিকটা দুশ্চিন্তায় ছিল।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন