২০২২ সালে চীনে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক্স কূটনৈতিক বয়কট করতে যাচ্ছে আমেরিকা। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বেইজিংয়ের ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তাদের অনুসরণ করে এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে ব্রিটেন।
উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চীনের উপর চাপ বাড়িয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্স কূটনৈতিক বয়কট করার কথা ভাবছে ব্রিটেন বলে দাবি করেছে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক। ‘টাইমস’কে উদ্ধৃত করে স্পুটনিক জানিয়েছে, উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা উইন্টার অলিম্পিক্স কূটনৈতিক বয়কট করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস। ফলে মনে করা হচ্ছে অলিম্পিক গেমস চলাকালীন বেইজিংয়ে কুটনীতিকদের পাঠাবে না বরিস জনসন সরকার।
বলে রাখা ভাল, প্রথামাফিক অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি দল পাঠায় আমেরিকা। কিন্তু এবার তা করবে না ওয়াশিংটন। কূটনৈতিক বয়কটের অর্থ হল, আমেরিকার ক্রীড়াবিদেরা শীতকালীন অলিম্পিক্সে অংশ নেবেন। কিন্তু বাইডেন সরকারের কোনও প্রতিনিধি অলিম্পিক্সের আসরে হাজির থাকবেন না। একইভাবে ব্রিটিশ প্রতিনিধিরাও এবার বেইজিংয়ে থাকবেন না বলেই খবর।
আগামী ৪ থেকে ২০ ফেব্রিুয়ারি বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্স। রাজধানী বেজিংয়ের পাশাপাশি হেইবেই প্রদেশের ঝ্যাংজিয়াকউ এবং পার্বত্য অঞ্চল ইয়াংকিঙে হবে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বেইজিংই একমাত্র শহর যেখানে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন, দু’রকম অলিম্পিকেরই আসর বসবে। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন