স্টাফ রিপোর্টার : তৃতীয় প্রান্তিকে দুই হাজার ৯৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। গত বছরে একই সময়ের তুলনায় এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। কর পরিশোধের পর কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ইপিএস ৪ দশমিক ৭৮ টাকা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নতুন গ্রাহক ও সেবা থেকে আয়কৃত রাজস্ব (ইন্টারকানেকশন বাদে) আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে ডাটা থেকে আয়কৃত রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ৭২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এই প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হবার ফলে সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যার মধ্যে নিবন্ধনবিহীন কোনো গ্রাহক নেই। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা দশমিক ৯ শতাংশ কম। তবে জুলাই-এর শেষে সিম মার্কেট শেয়ার বেড়ে হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ। গ্রামীণফোনের ডাটা গ্রাহকের সংখ্যা ১১ লাখ বেড়ে প্রান্তিক শেষে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখে।
তৃতীয় প্রান্তিকের অর্জন সম্পর্কে গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধির গতিশীল হওয়ায় এই প্রান্তক খুব ভালো কেটেছে। দৈনিক রাজস্ব প্রদানকারী ভিত্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার বৃদ্ধি এই প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। ডাটা এবং ভয়েস উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।” তিনি আরো বলেন, “নতুন গ্রাহক বৃদ্ধির গতিও বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” আয়কর প্রদানের পর ৩য় প্রান্তিকে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ মার্জিনসহ ৬৪০ কোটি টাকা, যা ২০১৫ এর একই সময়ের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। উচ্চতর রাজস্ব আয় এবং পরিচলন ব্যয় ব্যবস্থাপনার কারণে এই প্রান্তিকে ইবিটা (অন্যান্য আইটেমের আগে) হয়েছে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। ইবিটা মার্জিন বেড়ে হয়েছে ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৭৮ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, “গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে তার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে এবং ২ অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা উচ্চতর রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এবং নিয়ন্ত্রিত পরিচলন ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের বিশ্বাস ভয়েস এবং ডাটা ব্যবহারে যে প্রবৃদ্ধি আমরা দেখছি তা নেটওয়ার্ক ও বাজারে আমাদের অব্যাহত বিনিয়োগের ফলাফল।গ্ধ গ্রামীণফোন বছরের ৩য় প্রান্তিকে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে ২জি ও ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়াও গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারী কোষাগারে এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা প্রদান করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন