শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

উড়াল সড়কে পাল্টে যাবে হাওর

কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

হাওর মানেই অথৈ পানির সমারোহ। দূর থেকে প্রতিটি গ্রামকে মনে হয় একেকটা ছোট দ্বীপকুঞ্জ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাওরের দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এখন আর মানুষকে খুব একটা কষ্ট পোহাতে হয় না। শুকনো মৌসুমে এখন পুরো হাওর জুড়েই চলে দুই-তিন ও চার চাকার ইঞ্জিন চালিত গাড়ি। বদলে গেছে হাওরপাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকাও। পাল্টাচ্ছে অর্থনৈতিক চিত্র।
হাওরবাসীর এ দুঃখ ঘোচাতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের ইচ্ছায় ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার মধ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সারা বছর চলাচল উপযোগী সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটি ইতিমধ্যে সারা দেশের মানুষের দৃষ্টিও কেড়েছে। তবে সেই চোখজুড়ানো সড়কটি হাওরবাসীকে যোগাযোগে পূর্ণতা এনে দেয়নি।

কিশোরগঞ্জ জেলা সদর তথা সারা দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। এই অপূর্ণতা ঢাকতে এবার হাওরে নির্মাণ করা হচ্ছে উড়ালসড়ক। ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এ প্রকল্প নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকার মাটি পরীক্ষার কাজও শেষ হয়েছে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ১৪ কিলোমিটার দৈঘ্যের উড়াল সড়কটি শুরু হবে মিঠামইন সদর থেকে। নিকলীর ভাটিবরাটিয়ার ওপর দিয়ে এসে এটি শেষ হবে করিমগঞ্জের মরিচখালী এলাকার খয়রত গ্রামে। সেখান থেকে প্রশস্ত সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে জেলা সদরের সঙ্গে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নির্মাণাধীন সেনানীবাসকেও যুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি হাওর পরিস্থিতি সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে হাওর এলাকায় সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সহায়তা করবে।

এই উড়াল সড়ক নির্মাণে নকশা প্রণয়ন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোডে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে সারা বছর পণ্য, কৃষি পণ্য এবং মৎস্য সম্পদ দ্রুত ও সহজে পরিবহনের সুবিধা হবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে। তা ছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এলিভেটেড রোডের দুপাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
বান্নাহ ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ২:১৮ এএম says : 0
এই প্রকল্পের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হোক
Total Reply(0)
হৃদয় ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০১ এএম says : 0
হাওর কি শুধু ইটনা মিঠামইন আর অষ্টগ্রামেই নাকি আরও উপজেলা আছে??? যদি থাকে তাহলে সেগুলোর প্রতি একটু নজর দেওয়া হউক।
Total Reply(0)
বিদ্যুৎ মিয়া ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০৩ এএম says : 0
আমি যতটুকু জানি নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের শাল্লা, দিরাই এগুলো সব হাওর অঞ্চল, তাহলে তারা কি দোষ করলো?
Total Reply(0)
Md Mizanur Rahman ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০৩ এএম says : 0
এইগুলা করলে হাওরের মজা শেষ। গাড়ির আওয়াজে কোন পাখি আসবে না। হাওরে গেলে যে শান্তি লাগে সেই শান্তি আর লাগবে না। মানুষরা আর টলার ভাড়া করে ঘুরবে না।
Total Reply(0)
Zakaria Mohammad ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০৪ এএম says : 0
হাওরে বহুমুখী টানেল বানানো হোক
Total Reply(0)
জসিম ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০৪ এএম says : 0
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে সারা বছর পণ্য, কৃষি পণ্য এবং মৎস্য সম্পদ দ্রুত ও সহজে পরিবহনের সুবিধা হবে।
Total Reply(0)
Nazrul Islam ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:০৫ এএম says : 0
প্রেসিডেন্টের এলাকা বলে কথা!
Total Reply(0)
Md. Suman Hossain ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ২:৫০ পিএম says : 0
ইনশাআল্লাহ এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ; প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে সারা বছর পণ্য, কৃষি পণ্য এবং মৎস্য সম্পদ দ্রুত ও সহজে পরিবহনের সুবিধা হবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে। তা ছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে এলিভেটেড রোডের দুপাশে অন্তত ৬ থেকে ৭টি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন