পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাইয়ে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক মাসুদ বেপারী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র চেয়ারম্যানের ঘরের পাশে ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিরা হলÑ আল আমিন, বিল্লাল হোসেন, মাসুদ বিল্লাহ ও অন্য একজনের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেননি।
তিনি আরো জানান, মাসুদ রানা ব্যাপারীকে কুপিয়ে হত্যা করে জনৈক শ্যামল ডাক্তারের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। মাসুদের ভাই মাহফুজুর রহমান পটুয়াখালী সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে গত ৭ নভেম্বর মামলা রুজু করেন। মামলা রুজুর ৫ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ আসামিকে গ্রেফতার কর হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নির্বাচনকালীন সময়ে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজনু মোল্লার সমর্থনে প্রচারণা চালাতো। স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ভিকটিম মাসুদ রানাকে টার্গেট করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। গ্রেফতার আসামি আল আমিন দায় স্বীকার করে ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। গত ১১ নভেম্বর বড় বিঘাই এলাকা হতে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামি মাসুম বিল্লাহকে ২৩ নভেম্বর পালিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে মির্জাগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে মাসুদে রানাকে হত্যা করে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে রেখে যায় আসামিরা। মাসুদ বড় বিঘাই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের লতিফ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি বড় বিঘাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী অহিদুজ্জামান মজনু মোল্লার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। মজনু মোল্লা সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন