শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি

এফবিসিসিআই সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে করে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে এফবিবিসিআইয়ের নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছে তার খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এ কারণে তেলের দাম ডলারের দামের সাথে সমন্বয় করা উচিত। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যাবে বাংলাদেশেও কমবে। আর যখন বাড়বে তখন বাংলাদেশেও বাড়বে। এতে একসাথে তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমানোর ঠিক থাকে না। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তাই বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকার।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি। আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা লেদার, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রফতানি করছি। এই বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীর বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে।

তিনি বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশকে তাদের মার্কেট মনে করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সফরে আমরা ৬টি বাণিজ্য চুক্তি করেছি। ইউকে মার্কেট ও ফ্রান্স মার্কেটে আগামীতে আমাদের বাণিজ্য আরও বাড়বে। এছাড়া আমরা বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের আমাদের ব্যবসার সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। তারাই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতৃত্ব দেবে। বর্তমানে আমাদের রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করতে আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার প্রভাবে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে আছে। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই লোন নিয়ে তা পরিশোধ করে দেওয়ার মনোভাব রাখে। এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছে যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সরকারের সাথে কাজ করছি। কারণ ব্যাংকিং খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে যেসব উন্নয়ন হয়েছে, সেগুলো কিন্তু বেশিরভাগই দেশীয় ব্যাংকের লোনের মাধ্যমে হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএপি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা পাই, তবে আমরা বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন