বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

সামাজিক বীমা চালুর পাশাপাশি শ্রমবাজার সংস্কারের পরামর্শ

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দারিদ্র্যের ব্যাপক বিস্তার, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অভাব, শ্রমবাজারে জেন্ডার বৈষম্য এবং শ্রম অভিবাসনকে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ অবস্থায় কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সামাজিক বীমা চালু করা এবং বিদ্যমান শ্রমবাজার সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সোস্যাল প্রোটেকশন অ্যান্ড লেবার রিভিউ : টুওয়ার্ডস স্মার্ট সোস্যাল প্রোটেকশন অ্যান্ড জবস ফর দ্য পুওর শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য দেখালেও সামাজিক বীমা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, ক্ষুদ্রঋণ এবং শ্রমবাজার কর্মসূচিতে বাংলাদেশের আরো অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ রয়েছে। যেমনÑ বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরাই কেবল পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। অন্য কোনো খাতে এই সুবিধা নেই। তাই বেসরকারি খাতের জন্য পেনশন সুবিধা চালু করতে হবে। ক্ষুদ্রঋণের পরিচালন ব্যয় ও সুদের হার এখনো অনেক বেশি। বর্তমানে এই সুদের হার সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ, যা দীর্ঘমেয়াদে সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেয়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচির অবদান রয়েছে। তবে কর্মসূচির আওতাধীন উপকারভোগীর সংখ্যা দরিদ্রদের মোট সংখ্যার চেয়ে কম। তাই কর্মসূচির আওতা বাড়ানো, প্রায় অভিন্ন কর্মসূচিকে একটি কর্মসূচিতে রূপান্তর করে ব্যয়সাশ্রয় করা উচিত।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ কোটি ২৯ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এটি অর্জন করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। কর্মক্ষম মানুষকে কাজ দিতে না পারা একটা ব্যর্থতা। আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। সরকার যেভাবে এগোচ্ছে তাতে মানুষকে কর্মক্ষম করতে পারব।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়। তবে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। এসব মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। প্যানেল আলোচক ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিচার্স সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. রুশিদান ইসলাম রহমান। Ñওয়েবসাইট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন