চট্টগ্রামের দর্শক বরাবরই ক্রিকেট পাগল। যে কেনো ফরমেটে লাকি ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ হলে দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে গ্যালারিতে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের শুরুর দিনেই গ্যালরিতে দর্শকের উপস্থিতি তাই প্রমাণ করে। প্রায় দুই বছর পর খেলা দেখতে এসে দর্শকরা বাংলাদেশ দলকে জানিয়েছেন অকুন্ঠ সমর্থন। হাততালি দিয়ে, লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রিয় দলকে উৎসাহ দিতে দেখা যায়।
টেস্ট ম্যাচ হলেও গতকাল উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শক খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে আসেন। দর্শকের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর যেন প্রাণ ফিরে পেল সাগরপাড়ের স্টেডিয়ামটি। খেলা দেখতে আসা আগ্রাবাদস্থ বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন খেলা দেখতে পারিনি এই ভেন্যুতে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে সরাসরি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।’তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের সময়টা বিশ্বকাপ ও এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজে মোটেও ভালো যায় নি। এবার টাইগারদের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে এসে করেছেন কয়েকদিনের অনুশীলন। তার এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। গতকাল তিনি খেলেছেন লম্বা ইনিংস। এতে শোচনীয় অবস্থা থেকে রেহাই পেয়ে দল দিন শেষে এটি ভালো অস্থানে যেতে সক্ষম হয়। মুশফিকের খেলা দেখে মন ভরে গেছে। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে লিটন দাসও ভালো খেলেছেন।’
প্রথম সেশনেই ৪৯ রানে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলা দল দিন শেষ করে ওই ৪ উইকেটেই আড়াইশ ছাড়িয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২৫৩। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হয় ৫ ওভার আগে। তবে ব্যাট হাতে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন লিটন-মুশফিক। লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক। অপরাজিত আছেন ১০৯ রানে। সেঞ্চুরি থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো মুশফিক আজ দিন শুরু করবেন ৮২ রান নিয়ে। পঞ্চম উইকেটে দুজনের জুটিতে এসেছে ২০৪ রান। পঞ্চম উইকেটে সাগরিকায় যা সর্বোচ্চ। একইসাথে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশেরই চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন