তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা জরুরি।
তুর্কমেনিস্তানে অনুষ্ঠিত ইকোনমিক করপোরেশন অরগানিজেশনের ১৫তম সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। খবর হুররিয়াত ডেইলি নিউজের।
এরদোগান বলেন, আফগানিস্তানে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা জরুরি। দেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলা করছে। আমাদের সাধারণ ইচ্ছা ও লক্ষ্য হলো— সেখানে এমন একটি প্রশাসন তৈরি করা যা দেশের সব পক্ষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আঙ্কারা আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ মৌলিক সরকারি কাঠামো কার্যকর রাখার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কায় থাকা আফগানিস্তানে টার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট এবং তুরস্কের বেসরকারি সংস্থাগুলো মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়িয়েছে, বলেন এরদোগান।
দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এর পর দেশটির রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। পরে পাঞ্জশির দখলের পর দেশটিতে সরকার গঠন করে গোষ্ঠীটি। যদিও এখনও নতুন সরকারকে কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। এর মধ্যে শীত চলে আসায় দেশটিতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে শান্তির জন্য ইরানের ওপর থেকে একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা দরকার বলে মনে করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
তিনি বলেন, ইরানের ওপর থেকে একতরফা নিষেধাজ্ঞার অবসান এবং সব পক্ষের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে এসে বাধ্যবাধকতাগুলো পুনরায় গ্রহণ করা আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।
ইরানের ওপর একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে নানা সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন