শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আপ্যায়ন খরচের নামে যা হচ্ছে সান্তাহার পৌরসভায়

দুই লিটার পানি ৩০০ ও প্রতি প্যাকেট হরলিকস বিস্কিট ৩১০ টাকা

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পৌর কর্মচারিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার মেয়রসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ছাড়া অপর দুইজন হলেন পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল করিম এবং হিসাব রক্ষক এনামুল হক। বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ গত ১৮ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করেছেন। সান্তাহার পৌরসভার কর্মচারীদের প্রায় ৫৮ মাসের বেতন বকেয়া। বেতন না পেয়ে তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কর্মচারীদের অভিযোগ, মেয়রসহ তিনজন মিলে পৌরসভার বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তে কাউন্সিলর নাজিম উদ্দীনকে বাচ্চুকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্তকালে পৌরসভায় ৮টি বিষয়ে নয়ছয় করার প্রমাণ পেয়েছে।

বিস্ময়কর হলেও সত্য পৌরসভার আপ্যায়ন খরচে একাধিকবার প্রতি দুই লিটার কোমল পানির দাম ৩০০ টাকা ও প্রতি প্যাকেট হরলিকস বিস্কিটের দাম ৩১০ টাকা দেখানো হয়। তদন্ত শুরুর এক পর্যায়ে হঠাৎ করে মেয়র অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে তদন্ত বন্ধ করেন। এ অবস্থায় পৌরসভার কর্মচারীদের স্বাক্ষর করা একটি অভিযোগপত্র বগুড়া জেলা প্রশাসক ও দুদককে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক দফতর ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। পরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদমদীঘি উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত শুরুর পর তিনি বদলি হলে তার স্থলাভিষিক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ বিন রশিদ আদমদীঘি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করেন। কিন্তু প্রতিবেদন গ্রহণ না করে জেলা প্রশাসক কার্যলয় থেকে ফেরত পাঠানো হয়। করোনাকালীন সময়ে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
সম্প্রতি নতুন করে তদন্ত শুরু করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দায়িত্ব পেয়ে নতুন করে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন। এ বিষয়ে মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি আগের করা অভিযোগের পুনরায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত কমিটি অভিযোগের বিষয়গুলো আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন