প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বস। সেখান থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। তবে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মতো উইকেটে ধাক্কার মতো সবচেয়ে বড় ধাক্কাটিও দিয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার একটি শর্ট বলে চোখে সরিয়ে মাথার পেছনের অংশে আঘাত পান অভিষিক্ত ইয়াসির। শুশ্রƒষা নিয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও ওভার শেষ হতেই মাঠ ছেড়ে যাওয়া ইয়াসির রক্ষা পেলেন খারাপ কিছুর শঙ্কা থেকে। সিটি স্ক্যানে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি তার। ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে বিসিবি।
গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম সেশনের ঘটনা সেটি। সকালের সেশনে এই ইয়াসিরের নৈপুণ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ওভারেই মুশফিকুর রহিমের ফেরা দলকে বেশ বিপদেই ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু চাপের মুখেও লিটন দাস আর ইয়াসির লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৪ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাত পাওয়ার আগে ৭২ বলে ৩৬ করে ফেলেছিলেন। ইনিংসে ছিল ৬টি দারুণ বাউন্ডারি। ম্যাচের ৩০তম ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে শর্ট বল করেন শাহিন। ইয়াসির মাথা নিচু করে বল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। বল থেকে চোখও সরিয়ে নেন। বলটি না লাফিয়ে নিচু হয়ে ছোবল দেয় হেলমেটে। কনকাশন প্রটোকল অনুযায়ী তখন ফিজিও মাঠে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ইয়াসিরকে। বিসিবি জানিয়েছে, ইয়াসিরকে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার স্ক্যানিং করা হয়। সমস্যা ধরা না পড়লেও মাথার চোটের কারণেই কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে ইয়াসিরকে নিয়ে। কনকাশন বদলি হিসেবে পরে একাদশে নেওয়া হয় নুরুল হাসান সোহানকে। হঠাৎ পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি সোহান। ২০১৮ সালের পর প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমে ১৫ রানে আউট হন ভীষণ দৃষ্টিকটু শটে। তার আউট দিয়েই শেষের ধসের সূচনা হয় বাংলাদেশের। ৪ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় দল। গুনছে হারের প্রহর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন