রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অনাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার ও হেলপারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম রিমান্ডের এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঘাতক বাস অনাবিল সুপার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৮৫৬ গাড়ির সুপারভাইজার ও হেলপার। ওই গাড়ির ড্রাইভার আসামি মো. সোহেল অজ্ঞান অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে মাইনুদ্দিন পূর্ব রামপুরাস্থ প্রধান সড়ক পারাপারের সময় বাড্ডার দিক থেকে মালিবাগের দিকে যাওয়া বাসটি বেপরোয়া গতিতে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তার ওপর দিয়ে চলে যায় গাড়িটি। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় বিশাল অরাজকতার সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতা বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশব্যাপী বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। গত ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল সুপার পরিবহনের বাসচাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করেন। একই ঘটনায় রামপুরা এলাকায় ৮টি বাসে আগুন ও ৪টিতে ভাঙচুর করায় পৃথক একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন