শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্ত্রীর হাত কেটে নেয়ার অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- ঝিনাইগাতী বাজারের কসাইপাড়া এলাকার কুদরত আলীর ছেলে লিটন মিয়া, তার তিনভাই রিপন মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া ও নূর ইসলাম।
আদালত স্বামী লিটন মিয়াকে ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, রিপন, উজ্জ্বল ও নূর ইসলামকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে শেরপুর সদর উপজেলার বাদাতেঘরিয়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম বেগমের সঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলার কুদরত আলীর ছেলে কসাই লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের ৯-১০ মাস যেতে না যেতেই কুলসুমকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে লিটন। টাকা আনতে না পারায় পিতৃহীন কুলসুমের উপর চলতো নানা নির্যাতন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকেলে স্বামী লিটন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুলসুমকে কুপিয়ে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। লিটনের ৩ ভাই রিপন, উজ্জ্বল ও নূর ইসলাম ও কুলসুমকে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করেন।
এ ঘটনায় কুলসুম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই স্বামী লিটনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত রবিবার ( ৫ নভেমাবর ) এ রায় দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন