শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য চট্টগ্রামে বাজার মনিটরিং শুরু মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাতটি বাজার মনিটরিং করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল (শনিবার) সকালে নগরীর কর্নেল হাট ও পাহাড়তলী বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার এবং ফিরিঙ্গীবাজার, বক্সিরহাট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও বংশাল রোড বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য তদারকি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহমান সানি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. বেল্লাল হোসেন মোল্লা, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. জানে আলম, বিএসটিআই পরিদর্শক সুমন সাহা, বিএসটিআই পরিদর্শক মো. মুকুল মৃধা, মহানগর পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সংশ্লিষ্ট বাজার ও আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দরা বাজার মনিটরিংয়ে সহযোগিতা করেন। এর আগে গত শুক্রবার সকালে নগরীর কাজীর দেউরি, রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, আতুরার ডিপো বাজার, ষোলশহরের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, বিবিরহাট ও ফইল্যাতলী বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনমনে নাভিশ^াস উঠেছে। জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের নির্দেশে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. মমিনুর রশিদের নেতৃত্বে গত শুক্রবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের মূল্য মনিটরিং শুরু করা হয়। বাজারে মনিটরিংয়ের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সকালে নগরীর কর্নেল হাট ও পাহাড়তলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চালের আড়তগুলোতে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা হলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা হয়নি এবং পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদও দেখাতে পারেনি দোকানিরা। এ দুটি বাজারে চালের মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আসলেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি। আড়তের সাথে পাইকারি ও খুচরা দোকানে তরিতরকারির (সবজি) মূল্য দোকান, বাজার ও প্রকারভেদে কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে। মাছের দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। সাধারণ জনগণের ভোগান্তি রোধে নগরীর পাইকারী ও খুচরা বাজারের আড়তসহ প্রত্যেক দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সাথে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদপত্র সাথে রাখতে শেষবারের মত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্য করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যবসায়ী ও আড়তদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রাহমান সানি জানান, গতকাল নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার, বক্সিরহাট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও বংশাল রোডের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যে তদারকি করা হয়। এ সময় কোনো দোকানি পণ্যের মূল্যে তালিকা টাঙিয়ে রাখেনি এবং পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো ধরনের ভাউচার দেখাতে পারেনি। বাজারের প্রত্যেক দোকানিকে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচারসহ মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ডিজিটাল স্কেলের ওজনে কারচুপি হচ্ছে কিনা তা বিএসটিআই’র প্রতিনিধির মাধ্যমে যাচাই-বাচাই করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন