ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি দাওয়াত দেয়ার সুযোগ হয়, যাঅন্য কোন উপায়ে সম্ভব হয়না। ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনের ময়দানকে দাওয়াতের সবচেয়ে বড় ময়দান মনে করে নির্বাচনী জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবেই গণদাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
রোববার পুরানাপল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র প্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী ও মাওলানা নেছার উদ্দিন, ।
আলোচনা শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে মুফতি মাসুম বিল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও ৯জন কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
১নং ওয়ার্ড হাজী আব্দুল মালেক, ৩নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ইরান হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ বিল্লাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ইসমাইল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড ডা. মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ নুরুল আমীন দুলাল, ৮নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ সোহেল প্রধান, ১৩ নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ ফিরোজ আলম লিটন, ১৭নং ওয়ার্ড শেখ মুহাম্মাদ হাসান আলী, ২১নং ওয়ার্ড মুহাম্মাদ নুর হোসেন, ২৭নং ওয়ার্ড হাজী মুহাম্মাদ আবুল হাসেম।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাওলানা দ্বীন ইসলামকে আহ্বায়ক, হাজী আব্দুর রশিদ ও মাওলানা মাসুম বিল্লাহকে যুগ্ম আহ্বায়ক, মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব, মামুনুর রশিদকে সদস্য করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
মুফতী ফয়জুল করীম আরোবলেন, সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় দস্যুদের জুলুম নির্যাতন, হুমকি-ধমকি, চাপপ্রয়োগ এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহার ভয়ভীতি প্রদানকরে সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকেধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনে সাধারণ মানুষতাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারছেনা। এত কিছুর পরও ইসলামী আন্দোলন সরকারকে খালি মাঠে গোলদিতে প্রস্তুত নয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকারদলীয় দস্যুতা এখনও বন্ধ হয়নি। দলীয় মাস্তানরা হাতপাখার প্রার্থীদেরকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েপ্রার্থী, প্রার্থীর বাসায় এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, হুমকি-ধমকি দিয়ে সীমালঙ্ঘন করছে। সরকারদলীয় মাস্তানদের দস্যুতাবন্ধ না হলে জনগণ ঘুরে দাড়াতে বাধ্য হবে।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচন এখন মামা বাড়ীআবদার হয়ে দাড়িয়েছে। বিরোধী দলের প্রার্থীদেরপ্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়া মামাবাড়ী আবদারে পরিণত করেছে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন যিনি দেন তিনিই প্রত্যাহারের ক্ষমতা রাখেন। ইচ্ছে করলেই কেউ প্রত্যাহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, জুলুম অত্যাচার মাথায় রেখেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হবে। সরকার দলীয় দস্যুদের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে দীনকে বিজয়ী করার আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন