তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমান দম্পতির সন্তান সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত অশালীন এবং নারীর প্রতি চূড়ান্ত রূপে অবমাননাকর বলে মনে করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল সোমবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালের সই করা এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, সরকারের একটি দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন ব্যক্তির এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং নারীর প্রতি তার বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আসক তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একইসঙ্গে আসক মনে করে, দ্রুততার সঙ্গে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ডা. মুরাদ হাসানের ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।
আসক বলছে, এর আগেও রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছে। তবে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন এমন একজন নারী সম্পর্কে ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্য সকল শিষ্টাচার ছাড়িয়ে গেছে। এ ধরনের পদে থেকে তিনি নিজে যদি নারীর প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন এবং এমন ভাষা ব্যবহার করেন। তবে তিনি কীভাবে দেশের মানুষের, নারীর সাংবিধানিক এবং বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। প্রকৃতপক্ষে এসব বক্তব্য নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আসক জানায়, প্রতিমন্ত্রী সরকারের একটি দায়িত্বশীল পদে নিযুক্ত হওয়ার আগেই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করার শপথ নিয়েছেন। তার এমন বক্তব্যে সে শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। এক্ষেত্রে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের অবশ্যই ড. মুরাদের বিরুদ্ধে নৈতিকতা বিবর্জিত বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। আমরা আশা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন