মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তিনশ’র নিচে লক্ষ্য চায় বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে : টেস্টে যে ৭টি জয় আছে বাংলাদেশের, সেখানে ২টি মাত্র জয় চেজ করে। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান চেজ করে ৪ উইকেটে জেতার অতীত আছে বাংলাদেশের। তা ৭ বছর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রানাডায়। দেশের মাটিতে চেজ করে জয় মাত্র ১টি, ২০১৪ সালে ঢাকা (শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম) টেস্টে। জানেন তাইজুলময় ওই ম্যাচে ১০১ চেজ করে জিততে ৭ ব্যাটসম্যানকে হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।

টেস্টে চতুর্থ ইনিংস মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধে যে কতটা পরীক্ষায় ফেলে দিতে পারে ব্যাটসম্যানদের। ২২২৪টি টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে সাড়ে তিনশ’ চেজ করে মাত্র ৮টি জয়ই তার আদর্শ দৃষ্টান্ত। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসের পরীক্ষায় জয়ের সংখ্যা মাত্র ১টি, চতুর্থ ইনিংসের মহা পরীক্ষায় তীব্র প্রতিরোধে ড্র’র অতীতও সেখানে মাত্র ১টি। চতুর্থ ইনিংসে ৪১৩ স্কোর আছে বাংলাদেশের, তবে ২০০৮-৯ মওশুমে ঢাকা টেস্টে (শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম) শ্রীলংকার ৫২১’র সেই টার্গেটে ১০৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম (জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) টেস্টে ভারতের ৪১৫ চেজ করতে নেমে চতুর্থ ইনিংসে ৩০১, সে বছর হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ৪০৪ চেজ করতে নেমে ২৮২ পর্যন্ত স্কোর টেনে নিতে পেরেও কোনো সুখবর দিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। সান্ত¦নার ওই ইনিংসের টেস্টগুলোয় হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যতিক্রমী ঘটনাও আছে। ২০০৫ সালে ঢাকা (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) টেস্টে জিম্বাবুয়ের ছুঁড়ে দেয়া ৩৭৪’র চ্যালেঞ্জ অসম্ভব ধরে নিয়ে ১৪২ ওভারের প্রতিরোধ যুদ্ধ (২৮৫/৫) এখনো বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে টেস্ট প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
ইংল্যান্ডের লিডটা তৃতীয় দিন শেষে ২৭৩, লিডটা আরো কতো বড় হয়, সেটাই দুর্ভাবনায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ সমর্থকদের। উইকেটে যেভাবে স্পিনাররা ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, ব্যাটসম্যানদের উপর ঘোরাচ্ছে ছড়ি, তাতে চট্টগ্রাম টেস্ট জয়টা এখন অনেকটা অসম্ভবই মনে হতে পারে। নিজের ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে, তখন চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় (২০০৩ সালে সেন্ট জোন্সে ৩ উইকেটে জয়) দেখেছেন কোর্টনি ওয়ালশ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ৫’শ উইকেট শিকারি সেই কোর্টনি ওয়ালশ এখন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ। তবে চতুর্থ দিনে নাটকীয় কিছু’র প্রত্যাশায় ৩’শর নীচে টার্গেট চান ওয়ালশÑ‘কাল (আজ) সকালে আমাদের দ্রæত দুই উইকেট তুলে নিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, ওদেরকে তিনশ’ রানের আগে থামানো। কাজটা সহজ হবে না, তারপরও সম্ভাবনা আছে। আমরা যা চেয়েছিলাম, তার চেয়ে ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে ২০/৩০ রান বেশি করে ফেলেছে। একটা ভালো জুটি পেয়ে গেল ওরা। এটাই টেস্ট ক্রিকেটে। স্টোকস খুব ভালো খেলেছে, বেয়ারস্টোর সঙ্গে একটি ভালো জুটি গড়েছে।’
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সংশোধন হবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা, খেলবে ইতিবাচক ক্রিকেট। এই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে পারলেই দারুণ কিছু’র সম্ভাবনা দেখবে বাংলাদেশ, এটাই মনে করছেন ওয়ালশÑ ‘ম্যাচটিতে ভারসাম্য এখনো আমরা হারাইনি। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। ইতিবাচক থাকতে হবে। বাজে বলগুলো কাজে লাগাতে হবে। যদি ভালো দু’-তিনটি জুটি পাই তাহলে দারুন সম্ভাবনা থাকবে।’
যদি আমরা ৩০০,৩১০ কিংবা ৩২০ রানের লিড নিতে পারি তাহলে তা হবে দারুণ। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের ব্যাটিং লাইনআপটা শক্তিশালী। আর ক্রিস ব্রডের একটি টেস্ট শতক রয়েছে, ওকস প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নয়-দশটি সেঞ্চুরির মালিক। আরো ৫০ রান যোগ না করার কোনো কারণই দেখছি না। পিচে বল ভলোই ঘুরছে। তাদের দলে বেশ ক’জন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান আছেন, আমরা দলে যে দু’জন অফ স্পিনার পেয়েছি, তাদেরকে খেলা কঠিন হয়ে যাবে। তাই যদি আমরা ৩২০ রানের লিড নিতে পারি, তাহলে তাদেরকে (বাংলাদেশকে) অল আউট করতে পারব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন