হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আড়াই মাসের শিশুকে খুন করেছে আপন চাচী। পুলিশ ঘাতক চাচীকে গ্রেফতার করেছে। নিজের পুত্র সন্তান না থাকায় ইর্ষান্বিত হয়ে দেবরপুত্রকে হত্যার করেছে বলে স্বীকার করেছে ঘাতক চাচী শাহেনা বেগম। পরে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং সদরের ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের আমির খানী গ্রামে।
জানা যায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফরহাদ হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল তার আপন ভাই ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী শাহেনা বেগমের সাথে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছে। ঘাতক শাহেনা ৩ কন্যা সন্তানের জননী আর দেবর ফরহাদ ৩ পুত্র সন্তানের জনক। দেবরের আড়াই মাসের শিশু পুত্র হেসাইনকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন শাহেনা। এর অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বিকালে ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী তার আড়াই মাসের শিশু সন্তান হুসাইন আহমেদকে ঘরে রেখে পুকুরে কাজ করতে যান। এ সুযোগে পাষ- চাচী শাহেনা বেগম তার দেবর ফরহাদ হোসেনের ঘরে প্রবেশ করে। শিশু হুসাইনের মুখের ভেতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনাটি পাশর্^বর্তী ঘরের অপর একটি শিশু দেখে ফেলে। শিশুটির মা ঘরে এসে দেখতে পান সে নড়াচড়া করছে না। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে জড়ো হয়। তাৎক্ষণিক শিশু হুসাইনকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসাইন জানান, ঘটনার ক্লু পেয়েই আমরা আসামিকে গ্রেফতারে অভিযানে নেমে পড়ি। পালিয়ে যাবার সময় বানিয়াচংয়ের কন্ডুরপাড় এলাকা থেকে ঘাতক চাচী শাহেনা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেনা বেগম শিশু হোসাইন হত্যাকা-ে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গতকাল বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুক ঘাতক চাচী শাহেনা বেগমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন