শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনায় পালিত হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহ শাহাদাৎবার্ষিকী

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৩৭ এএম

খুলনার রূপসা নদীর পাড়ে চির নিদ্রায় শায়িত শহীদ রয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহ। আজ ১০ ডিসেম্বর তাঁদের ৫০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে খুলনাকে শত্রুমুক্ত করতে রণতরী পলাশ, পদ্মা গানবোট নিয়ে যাত্রাকালে শিপইয়ার্ডের অদুরে ভারতীয় বিমানের নিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণে পলাশে এ থাকা স্বাধীন বাংলার এ দুই সূর্যসন্তানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে সমাহিত করে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ দুই শহীদ বীরের স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নৌবাহিনী, রূপসা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাঘপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আজহার পাটোয়ারী ও মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।

অপরদিকে বীরবিক্রম মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ১৯৪৪ সালের ৩১ আগষ্ট চাঁদপুরের শাহেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. সুজাত আলী ও মায়ের নাম রফিকাতুন্নেছা। তিনি ১৯৬২ সালে নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একই সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। দেশ স্বাধীনের পর রুহুল আমীনকে বীরশ্রেষ্ঠ ও মহিবুল্লাহকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন