ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী যাত্রীবাহী নৌযান ‘এমভি কুয়াকাটা-২’ লঞ্চের কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামে এক যুবতীর লাশ গতকাল শুক্রবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নৌযানটির নিচতলায় এক কর্মীর কেবিন থেকে শারমিনের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি হত্যাকা- বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। মৃত শারমিন আক্তার ঢাকা পলিটেকনিক সংলগ্ন কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনায়েত হোসেন ফকিরের কন্যা। পিবিআইর পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, লাশের ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে নাম ও পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
লঞ্চের স্টাফ মো. সোহাগ জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ১৮শ’ টাকায় কেবিনটি তার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়। গত শুক্রবার সকালে নৌযাটি বরিশাল বন্দরে পেঁৗঁছলে কেবিনের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখে কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এসময় কেবিন খুলে যুবতীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় তারা। সবার ধারণা গভীর রাতে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সাথে থাকা পুরুষ সকালে বরিশাল ঘাটে নেমে গেছে। বিএমপির কোতয়ালী থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকা- কিনা সেটা নিশ্চিত হতে ও আসামিকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য লঞ্চ এবং টার্মিনালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন