মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছাত্রলীগ সভাপতির জুতা দিয়ে অসুস্থ বাবার সামনে কর্মীকে জুতার বাড়ি, সইতে না পেরে বাবার মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৪১ এএম

স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতির ববরতায় এক ছাত্রলীগকর্মীর বাবা সহ্য করতে না পেরে মারা যান। ঝিনাইদহের মহেশপুরে অসুস্থ বাবার সামনে এক তরুণকে নিজের মুখে জুতার বাড়ি দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আর এমন দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে মারা গেছেন ওই অসুস্থ বাবা।

ভুক্তভোগী ওই তরুণের নাম এস এম সরকার ওরফে হোসেন সরকার। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরিফুজ্জামান বিপাসের পা ধরেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে ওই তরুণকে। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন বাবা গিয়াস উদ্দিন সরকার।

এস এম সরকার ছাত্রলীগ করেন। মাঝে কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। অল্প দিন হলো বাড়িতে এসেছেন। তিনি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের বিপক্ষে ছিলেন। দুই পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা লেখালেখি করে। এই লেখালেখি নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

৮ ডিসেম্বর মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন (৬২)। নিজ সন্তানের গায়ে জুতার আঘাতের দৃশ্যের স্মৃতি নিয়েই যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

এস এম সরকার ওরফে হোসেন সরকার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। মুখে জুতা মারার ঘটনার পর দুঃখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এস এম সরকার লিখেছিলেন, ‘মানুষ কখন আত্মহত্যা করে?’ বাবার মৃত্যুর পর তিনি কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন। শুধু বলছেন, ‘ওরা আমাকে জুতা মারতে বাধ্য করার কারণে অসুস্থ বাবা খুব কষ্ট পেয়েছেন, যে কারণে তাঁকে বাঁচানো গেল না।’

তবে জুতা মারার ঘটনা সরাসরি অস্বীকার করেননি ছাত্রলীগ নেতা আরিফুজ্জামান। তবে ঘটনা নিয়ে তার ভাষ্য, তারা ওই কর্মীর অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। এ সময় এস এম সরকার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত দিন আপনাদের সঙ্গে বিরোধ করে এসেছি, অথচ আপনারা আমার বাবাকে দেখতে এসেছেন। আমি এত দিন ভুল করেছি, এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।’

ছাত্রলীগ নেতা আরও দাবি করেন, ওই কর্মী নিজেই তাকে জুতা দিয়ে মারতে বলেন। তখন তিনি নিজে না মেরে পা থেকে জুতা খুলে এগিয়ে দেন। তখন তিনি নিজেই জুতা মারেন।

এস এম সরকারের ভগ্নিপতি মোমিনুর রহমান বলেন, এস এম সরকার ছাত্রলীগ করেন। মাঝে কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। অল্প দিন হলো বাড়িতে এসেছেন। তিনি ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের বিপক্ষে ছিলেন। দুই পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা লেখালেখি করে। এই লেখালেখি নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

এস এম সরকার ওরফে হোসেন সরকার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। মুখে জুতা মারার ঘটনার পর দুঃখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এস এম সরকার লিখেছিলেন, ‘মানুষ কখন আত্মহত্যা করে?’ বাবার মৃত্যুর পর তিনি কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন। শুধু বলছেন, ‘ওরা আমাকে জুতা মারতে বাধ্য করার কারণে অসুস্থ বাবা খুব কষ্ট পেয়েছেন, যে কারণে তাঁকে বাঁচানো গেল না।’

তবে জুতা মারার ঘটনা সরাসরি অস্বীকার করেননি ছাত্রলীগ নেতা আরিফুজ্জামান। তবে ঘটনা নিয়ে তার ভাষ্য, তারা ওই কর্মীর অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। এ সময় এস এম সরকার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত দিন আপনাদের সঙ্গে বিরোধ করে এসেছি, অথচ আপনারা আমার বাবাকে দেখতে এসেছেন। আমি এত দিন ভুল করেছি, এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।’

ছাত্রলীগ নেতা আরও দাবি করেন, ওই কর্মী নিজেই তাকে জুতা দিয়ে মারতে বলেন। তখন তিনি নিজে না মেরে পা থেকে জুতা খুলে এগিয়ে দেন। তখন তিনি নিজেই জুতা মারেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন