সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মকভাবে আহত সন্তানের রক্তাক্ত চেহারা দেখে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন বাবা মাঞ্জু মিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। এব্যাপারে থানায় মামলা করে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কর্মচারী মো. সোহরাব হোসেন (৩২)।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আহত মো. সোহরাব হোসেনকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার উপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় সোহরাব গত ৫ মে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এতে হামলাকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়।
সোহরাব মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, গত ৮ জুলাই পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ব্রাহ্মণপাড়ার ধান্যদৌল গ্রামের সৈয়দ তানভীর, ফেরদৌস নাঈম, ফারুক আহমেদ ও আবুল বাশারসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন তার গতিরোধ করে মটরসাইকেল থামিয়ে মটরসাইকেলের ড্রাইভার হান্নানকে আঘাত করে এবং তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করতে থাকে।সোহরাব বলেন, আমাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। পরে হান্নান ওঠে এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।অভিযুক্তরা আমার সাথে থাকা গরু কেনার ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
সোহরাব জানান, পরে স্থানীয় লোকজন এলে সন্ত্রাসীরা মামলা না করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।আমাকে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থা খারাপ দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। আমার বাবা আমার এই করুণ অবস্থা দেখে স্ট্রোক করেন এবং ঘটনার দুদিন পর তিনি মারা যান। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই বলে দাবি সোহরাবের।এদিকে তার কর্মস্থল মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন