খবরটা অনেক দিন ধরেই বাতাসে ভাসছিল। অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ভাবনাটা। ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এবং দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল গতপরশু এক ঘোষণায় জানিয়ে দিয়েছে, এবারের কোপা আমেরিকাজয়ী আর্জেন্টিনা ও ইউরোজয়ী ইতালি আগামী বছরের ১ জুন মুখোমুখি হবে। ম্যাচের ভেন্যু- লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। ম্যাচটার একটা নামও আছে- ফিনালিসমো। ইতালিয়ান এই শব্দের অর্থ? ফাইনাল!
মেসি-ডি মারিয়াদের আর্জেন্টিনা বনাম কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চিদের ইতালি- ফুটবলপ্রেমীদের জিবে পানি এনে দেওয়ার মতো এক লড়াই-ই বটে! ম্যাচটি আয়োজনের ব্যাপারে গত সেপ্টেম্বরেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল কনমেবল ও উয়েফা। সেটি কবে, কোথায় হবে, সে সিদ্ধান্ত এসেছে গতপরশু। ঘোষণার সময়ে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘উয়েফা ও কনমেবলের মধ্যে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস অনেক পুরোনো। যেটা আমরা বিগত বছরগুলোয় আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি কিংবা ইন্টারটোটো কাপের সময়ে দেখেছি। গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা জাতীয় দলগুলো নিয়ে তেমন আরেকটি ট্রফি শুরু করতে যাচ্ছি, যেটি বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দ দেবে।’
আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত সমঝোতা চুক্তি সই করেছে উয়েফা ও কনমেবল। অর্থাৎ আগামী জুনের ম্যাচের পর কোপা ও ইউরোজয়ী দুই দলের এই আন্ত-মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আরও দুবার আয়োজনের চুক্তি হয়েছে আপাতত। তবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ী দলের লড়াই অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৫ ও ১৯৯৩ সালে উয়েফা ও কনমেবল আয়োজন করেছিল আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি নামে। প্রথম আসরে উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। দ্বিতীয় ও সবশেষ আসরে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতার পর ডেনমার্ককে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এছাড়া ক্লাব পর্যায়েও এই দুই মহাদেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতার পুরনো ইতিহাস। এর আগে ইউরোপিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন ও দক্ষিণ আমেরিকার কোপা লিবের্তাদোরেস জয়ী দল প্রতি বছর মুখোমুখি হতো। টুর্নামেন্টের নাম ছিল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।
গত জুলাইয়ে শিরোপা জেতার পথে ইতালি ও আর্জেন্টিনা দুই দলই ফাইনালে হারিয়েছে স্বাগতিক দলকে। বাংলাদেশ সময় ১১ জুলাই ভোরে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘুচিয়েছেন মেসিরা। ১১ জুলাই দিবাগত রাতেই লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ইতালি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন