লোহাগাড়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা লক্ষ টাকার কেটে নিয়ে গেলেন আহমদ কবির প্রকাশ কবির টিম্বার। তিনি উপজেলার লোহাগাড়া সদরের জমিদার পাড়ার মৃত জাকির মিয়ার পুত্র ও উপজেলা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সহ-সভাপতি। চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় ২৪টি গাছ কেটে নিয়ে যান। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওই এলাকা গেছে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়ক ঘেষা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় সেগুন, মেহগনি, আকাশমণি ও রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৪টি ছোট-বড় কাটা গাছের মোথা। কেটে নেয়ার পর গাছের মোথা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। কাটা গাছের মোথা ঝোপঝাড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে এলডিপি নেতা আহমদ কবির প্রকাশ কবির টিম্বারের লোকজন দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা থেকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গার পরেই রয়েছে তাঁর দখলীয় জায়গা। গাছ কাটার ব্যাপারে ভয়ে কেউ মুখ খোলছেন না। ঘটনাস্থলের নিকটেই রয়েছে চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা ও চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়। তারাও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তবে মহাসড়কের পাশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো কেটে নেয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও সৌন্দর্য। শতশত পাখি হারিয়ে আশ্রয়স্থল। লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
আহমদ কবির প্রকাশ কবির টিম্বার গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে।
চুনতি বন্যাপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, মহাসড়কের পাশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার ব্যাপারে অবগত আছেন। গাছগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা থেকে কর্তন করায় তাদের করার কিছু ছিল না। তিনি স¤প্রতি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। তবে গাছ কাটার ব্যাপারে তার কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। এর আগের রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, তাদের জায়গা থেকে গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন