উয়েফা নেশন্স লিগের প্রথম আসরে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। স্পেনকে পরাস্ত করে দ্বিতীয় আসরের শিরোপা ঘরে তোলে ফ্রান্স। কেমন হয় যদি এই দলগুলোর পাশাপাশি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও লড়াই করে এই প্রতিযোগিতার সেরা হতে? ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সেটা হবে পরম পাওয়া।
২০১৮ সাল থেকে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে নেশন্স লিগ আয়োজন করছে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতাটির দুটি আসর সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় আসরের সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। আগামী ২০২২-২৩ মৌসুমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসর শেষে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে নেশন্স লিগে। ২০২৪ সাল থেকে ইউরোপ মহাদেশের ৫৫ দলের পাশাপাশি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ১০ দল একত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এই লিগে। উয়েফার সহ-সভাপতি এবং পোল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার জিবিনিউ বোনিয়েক খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ঘোষণা দেয় উয়েফা ও দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। নারী ফুটবল, ফুটসাল, যুব ফুটবল, রেফারি বিনিময় ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ কনমেবলের সদস্য দলগুলো খেলবে নেশন্স লিগে। গতপরশু রাতে ক্রীড়া বিষয়ক স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোলিশ সংবাদমাধ্যম মেকজিকিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোনিয়েক বলেছেন, ‘আমরা কনমেবলের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। ২০২৪ সাল থেকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দলগুলো নেশন্স লিগে যোগ দিবে।’
দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো যোগ দিলেও নেশন্স লিগ আয়োজিত হবে ইউরোপের বিভিন্ন ভেন্যুতেই। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল খেলবে ‘এ’ লিগে। আর বাকি চার দল অংশ নেবে ‘বি’ লিগে। ‘সি’ ও ‘ডি’ থাকবে আগের মতোই।
রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ছাড়া কনমেবলের বাকি আট সদস্য দেশ হলো উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, চিলি, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া ও পেরু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন