সকল বিধি-নিষেধ অমান্য করে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড় ঘেঁষে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে মাটি। এতে হুমকিতে রয়েছে কয়েক গ্রামের মানুষ ও ফসলি জমিসহ পল্লী বিদ্যুৎতের ১১ হাজার কেবি ভোল্টের টাওয়ার। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়ন ও মেলান্দহ উপজেলা দুরমুট ইউনিয়ন কলাবাধা গ্রামে ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র। আর এসবের পিছনে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
সরজমিনে দেখা গেছে, কলাবাধা ফেরিঘাট অপর পাড়ে বেলকুচি পাড়া গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরে ব্যাকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে একদল মাটি ব্যবসায়ী। এতে আগামী বন্যার মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। ফলে নদীর পাড় থেকে শত শত একর ফসলি জমিসহ বেলকুচি পাড়া পোড়ারচর মহিষকুড়া গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে যাবে। ফসিল জমিতে বালি পড়ে আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হবে। অনেক প্রান্তিক কৃষক বেকার হয়ে পথে বসবে। দেখা দিবে খাদ্যাভাব।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক নূরল ইসলাম বলেন আমার মাত্র ২/৩ বিঘা জমি যেভাবে নদীর পাড় ঘেঁষে মাটি কাটছে। আগামী বন্যার সময় আবার নদী ভাঙন শুরু হলে জমি বিলীন হয়ে যাবে। ফলে আমার ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজন না খেয়ে মরার উপক্রম হবে। আমি বাধা দিলে জমির মালিক আমাকে মারতে আসে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর ভালো হবে না বলে শাসিয়ে দেয়। রজব আলী নামে আরো কৃষক জানান, নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটছে, কেউ কিছু বলে না। আমরা বলতে গেলে মারতে আসে।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রোকনুজ্জামান খানকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমার জানা নাই। গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমাকে এ ব্যাপারে কেউ কিছু জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন