কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধলাই নদীর পুরনো ভাঙন ও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। ধলাই নদীপারের বসতি পরিবারের লোকজন ও জরুরি আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙনের ঝুঁকি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাদে করিমপুর ও সুরানন্দপুর এলাকায় ধলাই নদীর পার ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। যেকোন সময় ভাঙন দিতে পারে। করিমপুর ও সুরানন্দপুর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রবণ বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে পার ধসে পড়ছে। গ্রামের নানু মিয়া, ইমান উল্ল্যা, কনা মিয়া, খলিল মিয়া, আবাছ মিয়া, আব্দুল্লাহ, সাদিক মিয়া, আরমান মিয়া হারুন মিয়া, আয়াত মিয়া, আমির মিয়া, মনির মিয়া, কছির মিয়াসহ একাধিক নারী ও পুরুষ জানান, সর্বনাশা ধলাই নদীর কারণে বাড়িঘর পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রবল বর্ষণে যখন ধলাই পার ধসে ধসে পড়ে তখন বিরাট আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কখন এসে পানির ঢলে গ্রাস করে ফেলে। বাদে করিমপুর ও সুরানন্দপুর এলাকার অনেক পরিবার জরুরি আসবাবপত্র ও পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মনাফ ও মোবারক মিয়া জানান, প্রবল বর্ষণে প্রতিবছর এই এলাকায় বাঁধ ভাঙন দেখা দেয়। জরুরিভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ দিয়ে এলাকাবাসীকে ধলাই নদীর হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ধলাই নদী ভাঙন দিলে এলাকায় প্রায় ১৫/১৬টি পরিবারের বাড়িঘর একেবারে তলিয়ে যাবে। ক্ষতিগস্ত ও তলিয়ে যাবে বাদে করিমপুর, সুরানন্দপুর, বাসুদেবপুর, মইডাইল, ধাতাইগাঁও, উবহাটা, জালালাপুর, ভূমিগ্রাম, পরানধর, মুন্সীবাজার ইউনিয়ন ও পতনঊষার ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর, মাধবপুর, কমলগঞ্জ পৌর এলাকা, মুন্সীবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান নদীর পার ধসে পড়েছে ও ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। করিমপুর ও সোনাপুর ধলাই নদীর বাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন