সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় সরকার প্রধান (অন্তর্বতীকালীন) হিসেবে শেখ হাসিনাই থাকবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, মির্জা সাহেব বলেছেন, আগামী নির্বাচন দিতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমি ফখরুল ইসলাম সাহেবকে বলি, দিবা স্বপ্ন দেখা ভালো কিন্তু ওই স্বপ্ন কোনো কাজে লাগে না। শেখ হাসিনার অধীনেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন হবে।ওই নির্বাচনে আপনাদেরও আসতে হবে। আর যদি না আসেন তাহলে জনবচ্ছিন্ন হয়ে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল তরঙ্গে বিএনপি নামক সংগঠন ভেসে যাবে খড়কুটোর মতো। বাংলার মানুষের কাছে কোনো দিন তারা আর আস্থা অর্জন করতে পারবে না।
গতকাল সোমবার টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ছাত্রলীগ প্যানেলের (২০১৯-২০) উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যখন দুঃস্থদের মাঝে সাইকেল বিতরণ করে অক্সিজেন সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে অসুস্থদের মাঝে পৌঁছে দেয়, ধান ক্ষেতে গিয়ে ধান কেটে মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেয়, যখন দেখি করোনাকালীন অসুস্থদের মাঝে তারা খাবার বিতরণ করে; তখন বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলি- যেই স্বপ্ন নিয়ে তুমি ছাত্রলীগকে গঠন করেছিলে, সেই ছাত্রলীগ আজ মানুষের জন্য কাজ করে। যে রাজনৈতিক অশুভ অপশক্তিরা ছাত্রলীগকে নানাভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিল তাদের সেই অশুভ চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। আজকে তারা নিজেরাই ছাত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণ বিচ্ছিন্ন নামসর্বস্ব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বহু অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আছে। ছাত্রলীগ আগে যা ভাবে বাকি সংগঠনগুলো তা পরে ভাবে। এটাই হলো ছাত্রলীগের ইতিহাস। সুতরাং এই ছাত্রলীগকে সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের প্রিয় নেত্রীর স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রলীগকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক আশা প্রকাশ করেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে অতীতের ন্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরবোজ্জ্বল ও অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে একটা নিরাপদ ক্যাম্পাস যা ঢাবির মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এবং নাভানা গ্রুপের সিইও ওয়াহেদ আজিজর রহমান প্রমুখ। এ কর্মসূচিতে অর্থায়ন করেন নাভানা গ্রুপ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন